বরিশালঃ-কলেজ ছাত্রী লামিয়া আক্তারের ৩মাস আগে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি নিতে এসেছেন বরিশাল কতোয়ালি মডেল থানায়। পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) বিপ্লব মিত্রা এর টেবিলের ওপর রাখা অ্যান্ড্রয়েড সেট দেখিয়ে বললেন, দেখুন তো এটি আপনার সেই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন কি না কলেজ ছাত্রী লামিয়ার চিনতে ভুল হয়নি। তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
সত্যি সত্যিই হারিয়ে যাওয়া ফোনটি তার হাতে তুলে দিচ্ছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।কলেজ ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানান,রুপাতলি বাসটার্মিনাল থেকে সাগরদী ব্রিজ আসার পথে হটাত ফোনটি হারিয়ে ফেলি। ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নম্বরসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছিল।
এ কারণে সেলফোনটি হারিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই।তখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পাড়ছিলাম না। তখন কতোয়ালি থানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আসি। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে (বিএমপি) অভিযোগ দেয়ার ৩ মাস পর মঙ্গলবার তার মোবাইল ফেরত পান। বিএমপির এমন দায়িত্বশীল ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার।
হারানো মোবাইল উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে কতোয়ালি থানার সহঃ উপ-পরিদর্শক (এ এসআই) যুগল কুন্ড বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারপরও তারা পেশাদার।
অভিযোগ পেলে হারানো বা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেন। আমাদের কতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম স্যারের নির্দেশনায় এবং সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) শারমিন সুলতানা রাখী স্যারের তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ও আইএমই নম্বর সার্চ করে বহু মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।তিনি আরও জানান, গত এক বছরে প্রায় ১৫৫টি হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে তিনি।
কোতোয়ালী থানা পুলিশের দূরদর্শিতায় সেলফোন উদ্ধার প্রসঙ্গে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, কোতোয়ালী থানা-পুলিশ গত এক বছরে কয়েকশ্#৩৯; হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
এসব মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে মানুষজন অবাক ও খুশি হন। পুলিশের এই তৎপরতা আরও গতিশীল করা হবে। লামিয়া আক্তারের সেলফোনটি তার কাছে হস্তান্তরের সময় পুলিশ পরিদর্শক (অপরেশন) বিপ্লব মিত্রা ও কোতোয়ালি থানার এএসআই যুগল কুন্ড