রমাদান মাসে রোজা রাখার নিয়তে সুবহে সাদিকের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করা হয় তাকে সাহরি বলা হয়, এর গুরুত্ব ও ফযিলত অনেক। অথচ আমারা অনেকে সাহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করি, শেষ রাতে সাহরি না খেয়ে রোজা রাখি, এ কাজটি ঠিক নয়।
এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,
«تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بركَة»
তোমরা ‘সাহরী’ খাও। সাহরীতে অবশ্যই বারাকাত (কল্যাণ) আছে।বুখারী ১৯২৩,
* আহলে কিতাব (ইহুদি ও খ্রিস্টানরাও) রোজা পালন করে, তবে তাদের রোজা ও আমাদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া, আমরা সাহরি খেয়ে থাকি আর তারা তা খায় না।
এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ স বলেছেন,
فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ»
আমাদের ও আহলে কিতাবদের (ইয়াহূদী ও খৃষ্টান) সওমের মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরীর। মুসলিম ১০৯৬,
সাহরিতে যে খাবার খাওয়া মুস্তাহাব, তা হল খেজুর, এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,
«نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنِ التَّمْرُ»
“মুমিনের উত্তম সাহরী হলো খেজুর দ্বারা সাহরী খাওয়া”। আবু দাউদ হাঃ ২৩৩৫
তাই সাহরির প্রতি আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শেষ রাতে অল্প খাবার হলেও গ্রহণ করা উচিত। যাতে আমরা সাহরির বারাকাহ ও কল্যাণ অর্জন করতে পারি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সাহরির বারাকাহ অর্জন করার তাওফিক দিন আমিন।
মোঃ আবু বকর সিদ্দিক
ইসলামি গবেষক