বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। মহারাজের জোড়া আঘাতে বেসামাল বাংলাদেশের ইনিংস। সাদমানের পর সাজঘরে ফিরলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয়। কেশব মহারাজের একটি ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান জয়। আউট হওয়ার আগে ৯ বল খেলে মাত্র ৪ রান করেন আগের ইনিংসে দারুণ ব্যাট করে রেকর্ডগড়া জয়। মহারাজের করা ওভারের পঞ্চম বলে ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হকও।
লেগ বিফোর হওয়ার আগে তিনি করেন ২ রান। প্রথম ইনিংসে ডাক মেরেছিলেন মুমিনুল।
চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৮ রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার এখনও ২৬৩ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট। ডারবান টেস্টের শেষদিনে আবার ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ। ৫ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। তার সঙ্গে আছেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজের ফেস করা প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন সাদমান ইসলাম। অন্য প্রান্তে জয় করেছেন ৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহও জয়ের ইনিংসের সমান। জিততে হলে আরও ২৭০ রান করতে হবে টাইগারদের।
দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে লিড তিনশো হওয়ার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে তারা করেছে ২০৪ রান, লিড ২৭৩ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার একেকটি উইকেট তুলে নিতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের! প্রথম আঘাত হেনেছিলেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। এবাদতের বলে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ওপেনার সারিল এরউই। ব্যক্তিগত ৮ রানে বিদায় নেন তিনি। তৃতীয় দিন শেষে সারিলের নামের পাশে ছিল ৩ রান।
এরপর তাসকিন আহমেদও ডিন এলগারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। ১০২ বলে ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। পিটারসেন মিরাজের বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে। তাসকিনও শিকার করেন এক উইকেট। বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হতে থাকা এলগারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ১০২ বলে ৬৪ রান করেন প্রোটিয়া দলপতি। মিরাজের বলে জয়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন পিটারসেন।
এবাদতের এক ডেলিভারিতে গালির দিকে ক্যাচ তুলে দেন বাভুমা। ইয়াসির আলি সেই ক্যাচ নিয়ে নেন দুর্দান্ত ভঙ্গিমায়। মুল্ডার কিছুক্ষণ টিকে থাকলেও কাইলে ভেরাইন্নে, কেশভ মহারাজদের উইকেট দ্রুতই তুলে নেন টাইগাররা। ৪২ বলে মুল্ডার ১১, ১৮ বলে ভেরাইন্নে ৬ ও মহারাজ ৫ রান করেন। এদের মধ্যে ভেরাইন্নে ও মুল্ডারকে মিরাজ এবং মহারাজকে তাসকিন আউট করেন। হারমার রান আউটের শিকার হন নুরুল হাসান সোহানের থ্রোয়ে। রান আউটের শিকার হন লিজাড উইলিয়ামসও। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন অলিভিয়ের। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিরাজ ও এবাদত। তাসকিন পান দুই উইকেট।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা সবকটি উইকেট হারিয়ে করেছিল ৩৬৭ রান। প্রোটিয়াদের হয়ে ৯৩ রান করেছিলেন টেম্বা বাভুমা। এলগারের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। তিন উইকেট নেন মিরাজ। জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৯৮ রান। যেখানে লিটন, শান্ত, মিরাজ ও ইয়াসির বাদে পুরোটা অবদানই মাহমুদুল হাসান জয়ের। ৩২৬ বলে ১৫ চার ও ২ ছয়ে ১৩৭ রান করেন তিনি। প্রোটিয়াদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন হারমার।