হে যুবক সম্পদায়, তোমরা গেমস খেলার প্রতিযোগিতা বন্ধ করো এবং কল্যাণের কাজে প্রতিযোগিতা করো।
তুমি কি ভেবে দেখেছো, এই গেমস খেলায় তোমার কি কোন উপকার আছে? না বন্ধু বরং তোমার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি, অর্থনৈতিক ক্ষতি, সময়ের অপচয়, আল্লাহর ইবাদাতে অমনোযোগিতা,
তাই এ কাজে Competition না করে বরং এই রমদান মাসে কল্যাণ ও সৎকাজে এগিয়ে যাও, প্রতিযোগিতা করো, অগ্রগামী হও,
* কেননা আল্লাহ বলেছেন,
فَاسْتَبِقُوا الْخَیْرٰتِؕ
তোমরা সবাই ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করো, সূরা আল মায়িদাঃ ৪৮
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন
سَابِقُوْۤا اِلٰى مَغْفِرَةٍ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَ جَنَّةٍ
(অতএব, এ সব অর্থহীন প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে) তােমরা তােমাদের মালিকের পক্ষ থেকে সেই প্রতিশ্রুত) ক্ষমা ও চিরন্তন জান্নাত পাওয়ার জন্যে এগিয়ে যাও, প্রতিযোগিতা করো। সূরা হাদীদঃ২১
* এবং এই রমাদান মাসে ফেরেশতারা আহবান করতে থাকে,
يا باغي الشر أقصر
হে অপরাধী, হে অসৎকাজ সম্পাদনকারী, অপরাধ ছেড়ে, কল্যাণের কাজে এগিয়ে আসো। তিরমিজি হা ৬৮২
তাই আমাদের কল্যাণ ও সৎকাজে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
এ রমাদান মাসে কুরআন তেলাওয়াত ও অনুধাবন, সালাতুত তারাবিহ,সালাতুত তাহাজ্জুদ, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতে আদায়, যথাযথ ভাবে সিয়াম আাদায়, সাহরি ও ইফতারের কল্যাণ, মা- বাবার খেদমত, প্রতিবেশীদের সাহায্য এবং অন্যন্যা ভাল ও সৎকাজের প্রতিযোগিতা করো।
এবং এভাবে যেন আমার সাড়া বছর ভাল ও কল্যাণের কাজে প্রতিযোগিতা করতে পারি আল্লাহ তায়ালা সেই তাওফিক দান করুন, আমিন।
মোঃ আবু বকর সিদ্দিক
ইসলামি গবেষক