সরকার কোন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নেয়নি, তাই দেশে শ্রীলংকার মত পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, কেউ কেউ শ্রীলংকার জায়গায় বাংলাদেশকে বসিয়ে রায় দেন, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের মনোভাব মোটেও ঠিক নয়। দুই দেশের সমাজ ও অর্থনীতি ভিন্ন। তাদের মূল্যায়ন তারা করবেন। আমরা সতর্কতার সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি পরিচালনা করি।
একনেক সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, নদী তীর সংক্ষণ বাঁধের মত প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় মানিকগঞ্জে এসেনসিয়াল ড্রাগের নতুন কারখানা নির্মাণসহ ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার মোট ১২ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়াও একনেকে অনুমোদন পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স প্রকল্প। এতে সরকারি ব্যয় ১১শ ৮২ কোটি টাকা, আর জাইকা ঋণ হিসেবে দেবে ২ হাজার ২শ ১৫ কোটি টাকা। প্রকল্পে পরামর্শকের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩শ ৭২ কোটি টাকা।
এদিকে ডেসকো এলাকায় বিদ্যুতের অবকাঠামো সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নে ২ হাজার ২শ’ ৭২ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তজুমুদ্দিন ও লালমোহনে উপকূলীয় বাধনির্মাণ ও তীর সংরক্ষণসহ অনুমোদন পেয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোট তিনটি প্রকল্প।
এছাড়াও মানিকগঞ্জে ১ হাজার ৯শ ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এসেনসিয়াল ড্রাগের আরেকটি কারখানা নির্মানের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
শ্রীলংকার নাজুক পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নেবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এদেশের অর্থনীতির কাঠামো একেবারেই ভিন্ন।
উল্লেখ্য, ক্রমাগত উন্নতিতে এক যুগ আগে যে শ্রীলঙ্কা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উঠার পথে ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। জ্বালানি তেল কিনতে না পারায় দেশটিতে এখন বিদ্যুৎ মিলছে না, গাড়ি চালানো দুষ্কর হয়ে উঠছে, কাগজের অভাবে পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। এই পরিস্থিতিতে জনবিক্ষোভে সরকারও পতনের দ্বারপ্রান্তে।