পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আদেশ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাতে এ রায় ঘোষণা করেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। সংক্ষিপ্ত রায়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও ইমরান খান সরকারের মন্ত্রিসভা পুনর্বহাল এবং আগামী শনিবার (৯ এপ্রিল) পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
রায়ে সরকারি দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করলেও এ রায় রীতিমতো উদযাপন করছে বিরোধী আইনপ্রণেতারা।
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ইমরান খান বিরোধী রাজনীতিক ও পাকিস্তান পিপল’স পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। রায় প্রকাশ হওয়ার কয়েক মিনিট পরই এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘আজকের এ রায় গণতন্ত্র ও সংবিধানের জয়।’ আরেক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।’
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা ও প্রবীণ রাজনীতিক নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ এ রায়কে ‘যুগান্তকারী’ বলে অঝিহিদ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের মধ্যদিয়ে মিথ্যা, প্রতারণা ও অভিযোগের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে আর জনগণের জয় হয়েছে।’
পিএমএল-এন নেত্রী ও দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, এ রায়ে সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়েছে। এবার শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পিপিপির অন্যতম নেতা ও সিনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার বলেন, এ রায়ের মধ্যদিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জনগণের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। এ রায় ইমরান খানের বিষাক্ত প্রচারণার অবসান ঘটিয়েছে।
জামায়াত-ই-ইসলামি প্রধান সিরাজুল হক বলেছেন, ‘এই রায় প্রয়োজনীয় মতবাদ (ডকট্রিন অব নেসেসিটি) কবর দিয়েছে। পুরো জাতি এ রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে।’