মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) রাশিয়ার যোগাযোগ প্রযুক্তি পর্যবেক্ষক সংস্থা রসকমনাদজোর এক বিবৃতিতে বলেছে, গুগলের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউটিউব রুশ আইন লঙ্ঘন করে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, ভুয়া খবর ছড়ানোয় রাশিয়ায় গুগলের প্রচার-প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা গণমাধ্যম ও তথ্য সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ সারিতে গুগলের নামও চলে আসতে পারে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অভিযানের শুরু থেকেই মস্কো অভিযোগ করে আসছে, অভিযান নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে একপেশে ও ভুয়া তথ্য প্রচার করছে। এরপর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য প্রচার করার জন্য ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান করে একটি আইনও পাস করা হয়েছে।
রুশবিরোধী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ এনে গুগলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া। দেশটির যোগাযোগ পর্যবেক্ষক সংস্থার পক্ষ থেকে গুগল নিউজ অ্যাপ ও ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের অভিযোগ, ইউক্রেনের উগ্র ডানপন্থী সংগঠনগুলোর ভুয়া তথ্য বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইউটিউব। রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা ১২ হাজার চরমপন্থার পেজ ইউটিউব থেকে সরানো হয়নি। এছাড়া গুগলের বিরুদ্ধে রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটি, স্পুটনিক ও অন্যান্য গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রাশিয়ার পর্যবেক্ষক সংস্থা রসকমনাদজোর বলেছে, গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব অসংখ্য আইন লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানোর অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এটি। প্ল্যাটফর্মটি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।
রাশিয়ার পর্যবেক্ষক সংস্থা আরও বলেছে, ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছে গুগল ও এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখানো নিষিদ্ধ করা। এছাড়া গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কিভাবে রুশ আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে জনগণকে সে সম্পর্কে অবহিত করা হবে বলেও জানান সংস্থাটি।