চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী মৌসুমে খেলতে হলে, লিগের বাকি থাকা সব ম্যাচে জেতা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। অথচ এমন সমীকরণে দাঁড়িয়েও তারা হেরেছে এভারটনের বিপক্ষে। ম্যাচ হারের হৃদয় ক্ষরণের মতো রক্ত ক্ষরণ হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শরীরেও। দলের এমন করুণ সময়ে পর্তুগিজ তারকা যেন আবার ইনজুরিতে না পড়েন সেটাও শঙ্কার বিষয় ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটির জন্য।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শনিবার (৯ এপ্রিল) এভারটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচের ২৭ মিনিটে এভারটনের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন অ্যান্থোনি গর্ডন।
এদিকে মাঠে পুরো ৯০ মিনিটে খেললেও, দলকে কোনো সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন রোনালদো। বরং মাঠ ছেড়েছেন রক্তাক্ত হয়ে। ম্যাচে শেষে রোনালদো যখন তার পায়ের গার্ড খোলেন, তখন দেখতে পান, সেখানে আঘাতের চিহ্নের সঙ্গে মাখামাখি হয়ে আছে রক্তও।
এর আগে প্রতিপক্ষের মাঠ গুডিসনে আক্রমণ বা বল দখল সব কিছুতেই এগিল ছিল ম্যান ইউ। তবে তারা ব্যর্থ শুধু প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে। ম্যাচে ইউনাইটেড বলের দখল রেখেছে ৬৮ শতাংশ। গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছে ১২টি, যার ৪টি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু সেভাবে পরিষ্কার গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে ৭ শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারা এভারটন মাঠ ছেড়েছে পূর্ণ তিন পয়েন্ট আদায় করে।
প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে এভারটনের গর্ডনের নেওয়া পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি ইউনাইটেডের গোলরক্ষক। গর্ডনের ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট হ্যারি ম্যাগুইরের মাথার ওপর দিয়ে ভেসে ইউনাইটেডের গোলকিপার দাভিদ দে হেয়াকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় জালে।
ম্যাচের শেষ দিকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। তবে পরাস্ত করতে পারেননি এভারটন গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে। ফলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইউনাইটেডকে। পরিবর্তন আনতে পারল না পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের। ফলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে পড়ে গেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পা রাখতে হলে, তাদের লিগ শেষ করতে হবে টেবিলের চারে থেকে।
চলতি আসরে ৩১ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে ইউনাইটেড। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহ্যামের পয়েন্ট ৩০ ম্যাচে ৫৪। ২৯ ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আর্সেনাল। ষষ্ঠ স্থানে থাকা ওয়েস্ট হামের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৫১।
অন্যদিকে ৩০ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপার দৌড়ে সবার উপরে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের শিরোপা জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিভারপুল।