করোনার পর ফের দীর্ঘ ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা নববর্ষ, ইস্টার সানডে গ্রীষ্মকালীন, মহান মে দিবস ও শব-ই-কদর এবং পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি মিলিয়ে মোট ৩৯ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১০ এপ্রিল) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. বাহাউদ্দিন গোলাপ স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে ১৭ই এপ্রিল ৪ দিন এবং ১৮ই এপ্রিল থেকে ২৩শে মে পর্যন্ত ৩৫ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সিকিউরিটি ও ডিসপ্যাচসহ জরুরি সেবা সমূহ কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে এত দীর্ঘ ছুটি হলে সেশনজট আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই ঈদের পরের ছুটিগুলো কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. সাফায়াত বলেন, এই দীর্ঘতম দিনে রোজার মধ্যেও ক্যাম্পাস খোলা রাখা হয়েছে। অথচ ঈদের পরে প্রায় ১ মাস বন্ধ রেখেছে যার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমি মনে করি এতে সেশনজট আরও বৃদ্ধি পাবে।
গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের সাবেক ভিসি বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষকরা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শুক্র-শনিবারে ক্লাস নিয়ে হলেও সেশনজট দূর করবেন। এরপর আসলো করোনার বন্ধ। যার কারণে দীর্ঘ ছুটির মধ্যে কাটিয়েছি। অনেকের ৪ বছরের স্নাতক ৫ বছরে গিয়ে ঠেকেছে। তাই আমি মনে করি এই ছুটি শিক্ষার্থীদের হতাশা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মুহাসিন উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা এর আগে শীতকালীন ছুটি বাতিল করেছিলাম। যা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। আর এই বন্ধ আমাদের সিন্ডিকেট কমিটি থেকে ১ বছর আগে পাশ হয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া আমাদের আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে আমাদের জানিয়েছেন। এই বন্ধে ক্লাস কার্যক্রম চলমান না থাকলেও পরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে বাঁধা নেই। ফলে ক্লাস না হলেও পরীক্ষা চলবে এবং এতে একাডেমিকভাবে খুব একটা সমস্যা হবে না।
পি.এম