বরিশাল: গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঈদে বাড়ি ফেরার আমেজ ছিল না। এবারের ঈদুল ফিতরে তাই স্বজনদের কাছে যেতে আগ্রহ বেশি। দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এরই মধ্যে বাড়ি ফেরার আগাম তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রতি বছর দুই ঈদ সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে অত্যাধুনিক ও বিশালাকারের নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে।
লঞ্চের সঙ্গে বেড়েছে কেবিনের সংখ্যাও। তবুও সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব কেবিনের টিকিট পরিণত হয়েছে সোনার হরিণে। ফলে না চাইলেও কালোবাজারিদের ওপর টিকিটের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে না চাইতেও উচ্চমূল্যে এইসব টিকিট তাদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বরিশাল নৌ রুটে মোট ২২ লঞ্চ চলাচল করে।এসব লঞ্চে সিঙ্গেল, ডাবল, ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমিভিআইপি, শৌখিন ও ফ্যামিলি ক্যাটাগরিতে দুই হাজারের বেশি কেবিন রয়েছে।
রমজান শুরুর পর থেকেই সাধারণ যাত্রী ও তাদের স্বজনরা এসব কেবিন পেতে লঞ্চের অফিসগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
ওই সময় তাদের কাছ থেকে স্স্নিপ জমা রাখা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে তাদের নামে কোনো কেবিন থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ কারণে, বাড়ি ফেরার নানা ঝক্কির সঙ্গে যোগ হয় টিকিট পাওয়ার জন্য লবিংয়ের ঝক্কি। আর যাত্রীদের ভরসা হয়ে ওঠে কালোবাজারের দালাল চক্র। টিকিট বিক্রির এই পদ্ধতি পুঁজি করে সক্রিয় কিছু চিহ্নিত দালালরা।