তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২২-২৩ বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সিগারেটসহ সব তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রোববার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেশব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)।
কর্মসূচিকে অংশগ্রহণকারীরা এ সংক্রান্ত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে #RaiseTaxSaveLivesBD হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপলোড করেন।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, আসন্ন বাজেটে নিম্ন স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৩২ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। মধ্যম স্তরে খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৮ দশমিক ৭৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। এছাড়া উচ্চ স্তরে খুচরা মূল্য ১২০ টাকা নির্ধারণ করে ৭৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৯৭ দশমিক ৫০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে।
এ কর ও মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে প্রায় ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবেন। দীর্ঘমেয়াদে ৪ লাখ ৪৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লাখ ৪৮ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠীর অকাল মৃত্যুরোধ করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে সরকারের ৯ হাজার ২০০ টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।
এছাড়া ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১১ দশমিক ২৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ২৭ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (৬০ শতাংশ) আরোপ এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ১৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (৬০ শতাংশ) আরোপ করতে হবে।
বিড়ি, জর্দা এবং গুলের দাম বাড়ানো হলে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং এসব খাতে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।