বরিশাল:ঈদ নিকটে এলেও বরিশালের বিপনীবিতানগুলোতে শিশুদের জন্য বিশেষ ডিজাইনের কোন পোশাক আসেনি। ফলে ক্রেতারা পুরানো ডিজাইন দেখে অনকেটাই হতাশ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল নগরীর বিপনীবিতানগুলো ঘুরে এসব চিত্রই দেখা গেছে।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, ২০ রোজার পরে ঈদ মার্কেট জমে উঠবে। তখন নতুন ডিজাইনের পোশাকও আসবে বাজারে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সিটি মার্কেট, হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হকার্স মার্কেট, চকবাজার ও সদর রোডের অভিজাত শপিংমলে তুলনামূলক কম ক্রেতাদের ভিড়।
এসব শপিংমলে শিশুদের জন্য পোশাক কিনতে এসে অনেকটা হাতাশা নিয়ে ফিরছেন ক্রেতারা। যা পুরানো ডিজাইনের আছে তারও দাম অধিক। সাধারণত ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের দেশি-বিদেশি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
চকবাজারে ক্রেতা শফিকুল ইসলাম বাদল বলেন, শিশুদের পোশাকের দাম আকাশছোঁয়া। নকুন কোন পোশাকও আসেনি। পুরানো পোশাক ক্রেতাদের সাথে ভুলভাল বুঝিয়ে গছিয়ে দিতে চাইছে।
ইসমাইল হোসেন নামে আরেক ক্রেতা মহসিক মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে জানান, প্রতি বছরই আমি আমার বাচ্চাদের জন্য ঈদের কাপড় কিনি। কিন্তু এ বছর আগের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।’
বুনন শপিংমলের সত্ত্বাধিকারী মো. হোসাইন ভুইয়া বলেন, অন্যান্য ঈদে ১০ রোজার পরপরই বাজার জমে উঠলেও এবার তা হয়নি।
পোশাকের দাম এবার একটু বাড়তি জানিয়ে তিনি বলেন, এবারে ক্রেতা কম, তবে ২০ রোজার পরে ঈদের বাজারে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করেন এই ব্যবসায়ী।