পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার নাগরিক প্রিয়ান্থা কুমারাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত-‘এটিসি’ সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ রায় দিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও একই মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন, ১ জনকে ৫ বছর ও ৭২ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রিয়ান্থা কুমারাকে হত্যা মামলায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৯ জন কিশোর। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একদল লোক প্রিয়ান্থাকে তার কর্মস্থল থেকে বের করে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এর আগে শিয়ালকোট শহরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ধারণা, ইসলামিক তথ্য সংবলিত একটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগীর ওপর একদল জনতা আক্রমণ করছে। আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসময় ওই ব্যক্তির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীদের কারও মধ্যেই পরিচয় গোপনের ইচ্ছা দেখা যায়নি, এমনকি কেউ কেউ জ্বলন্ত মরদেহের সঙ্গে সেলফিও তুলেন।
এই ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারকিসহ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ‘পাকিস্তানের জন্য একটি লজ্জার দিন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।