নিজস্ব প্রতিবেদক- বাবুগঞ্জ উপজেলায় মাধবপাশার ফুলতলা গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর(৪৫) ছেলে মোহাম্মদ নাঈম হাওলাদার(২২) রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে তার পিতাকে মারদর শুরু করে। ইউসুফের চাচা আলতাফ হাওলাদার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসলে নাঈম তাকেও মারধর শুরু করে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় নাঈম এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সমযয়ে মারামারির অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাঝে-মধ্যেই নাঈম তার বাবার গাযয়ে হাত তুলতো। ইতোপূর্বে কয়েক বার এরকম ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেলে মারামারি শুরু হলে যারা তার বাবাকে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম তাদের সবাইকেই নাঈম মেরেছে এবং পরবর্তীতে আবার দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তারা আরে বলেন, নাইম বিভিন্ন রকম মাদক সেবন করে। যখন তার কাছে টাকা না থাকে তখনি পরিবারে আসান্তি শুরু করে এবং কেউ তাতে বাধাদিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এমনকি মারধর করতেও দিধাবোধ করেনা।
দাদা আলতাব হাওলাদার বলেন, নাঈম মাঝেমধ্যেই তার বাবাকে মারধর করে। এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে সে তার বউয়ের সাথে ঝগরা করে ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দরজা ভেঙে সেখান থেকে আমরা তাকে করি। গতকাল বিকেলে মারামারি শুরু হলে ইউসুফের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে কাছে গিয়ে দেখি নাামি তাকে মারতাছে। আমি তাতে বাধাদিলে আমাকেও মারা শুরু করে। শুধু আমাকেই না এখানে যারাযারা মাইর থামাইতে আসছিলো সবাইকেই সে মারে। পরে আমার ছেলে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ আসলে নাঈম বাড়ি থেকে বউ নিয়ে চলেযায়।
বিমান বন্দর থানার এস আই রুবেল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ ফোন দিলে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। কিন্তু কোন পক্ষের অভিযোগ না করায় এখনো পর্যৃন্ত কোন ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ পেলেইৃৃৃ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।