রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার স্ত্রী-কন্যাকে তাদের নিজ বাসায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্রেমলিনের সাবেক কর্মকর্তা ও বেসরকারি গ্যাজপ্রমব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিস্লাব আভায়েভকে চলতি সপ্তাহে (১৬ এপ্রিল) রাজধানী মস্কোর একটি বিলাসবহুল বহুতল ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় আভায়েভের মরদেহ পাশে তার স্ত্রী ও এক কন্যার মরদেহও পাওয়া যায়। এ ঘটনা পুরো রাশিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও এর সঙ্গে অন্যকোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে মস্কো পুলিশ। খবর ডেইলি মেইল।
ভ্লাদিস্লাভ আভায়েভ একজন খ্যাতনামা ব্যাংকার। এক সময় রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর গ্যাজপ্রম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কয়েক বছরের দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি অবসর নেন তিনি। স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ মস্কোর একটি বহুতল ভবনে বাস করছিলেন।
খবরে বলা হয়, এদিন তাদের গাড়িচালক আকাশচুম্বী ভবনের ১৪ তলার বাসায় গিয়ে নক করলেও কেউ দরজা খোলেনি। চালক এরপর ভ্লাদিস্লাভের ২৬ বছর বয়সী মেয়ে আনাস্তাসিয়াকে ডাকেন। দরজা খোলার পর ভ্লাদিস্লাভ ও তার স্ত্রী-কন্যাকে মেঝেয় মৃত অবস্থায় পান তারা। এরপর পুলিশ এসে ৫১ বছর বয়সী ভ্লাদিস্লাব, তার ৪৭ বছর বয়সী স্ত্রী ইয়েলেনা ও ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে উদ্ধার করে। ভ্লাদিস্লাভের মরদেহের কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
সাবেক ক্রেমলিন কর্মকর্তার সপরিবারে মৃত্যুর খবর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-বিতর্ক। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, বিতর্ক মূলত সেটা নিয়েই। পুলিশ অবশ্য প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছে। মনে করা হচ্ছে, পিস্তল দিয়ে ভ্লাদিস্লাব প্রথমে গুলি চালিয়ে স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা করেছেন। এরপর আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে পুরো ঘটনাটি ব্যাপক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।