হিলি বাজারে সয়াবিন তেলের দাম আবারও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটারে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) হিলি বাজার ও চার মাথার দোকানগুলোতে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিটি পাইকারি ও মুদি দোকানে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে হিলি বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও সরবরাহ কমার অজুহাত দেখিয়ে বর্তমানে তা ১৮৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে বোতলজাত তেলের দাম আগের মতোই রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে তেল কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘তেল আমাদের সংসারের একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। হঠাৎ করে খোলা সয়াবিন তেলের দাম আবারও বেড়ে যায়। আমরা তো নিম্ন আয়ের মানুষ। আমরা খোলা তেলই বেশি কিনি। তাই দাম বাড়ায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যে তেল গত সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি কিনেছিলাম, সে তেল আজ ১৮৫ টাকা করে কিনতে হলো। তেলের দাম বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়ছে না। এতে পরিবার নিয়ে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
আলম নামের এক রিকশাচালক তেল কিনতে এসে দেখেন তেলের দাম বেশি। তাই প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক পরিমাণে তেল কিনতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুদিন স্বাভাবিক ছিল। তবে তা আবারও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
এ সময় তিনি সরকারের কাছে পণ্যের দাম কমানোর দাবি জানান।
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে হিলি বাজারের কয়েকজন পাইকারি মুদি দোকানি বলেন, ’আমরা বাজারে সয়াবিন তেল কিছুদিন কম দামে বিক্রি করেছি। তবে কোম্পানিগুলো হঠাৎ করে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে এবং দাম বেশি নিচ্ছে। তাই তেলের দাম আবারও বেড়েছে। আমরা যে দামে তেল কিনেছি তার থেকে ২ টাকা লাভে বিক্রি করছি।’
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর এ আলম বলেন, ‘কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যাতে পণ্য মজুত করে দাম বাড়াতে না পারে, আমরা সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে বাজারে তদারকি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট করে বাজারে কেউ তেলের দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।