ইউক্রেনের দোনেৎসকের পূর্বাঞ্চলের ৪২টি গ্রাম রাশিয়া দখল করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফের এক সহযোগী এমন দাবি করেছেন।-খবর বিবিসির
ওলেনা সিমোনেনকো নামের ওই সহযোগী বলেন, আগামীকাল ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
দোনেৎসক ও লুহানস্ক মিলে গঠিত দোনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বড়সড় করতে চায় মস্কো।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি থিংকট্যাংক বলছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বাহিনীর অর্জন ক্ষুদ্র। তারা সম্মুখসারির শহর রুবিজনে ও পোপাসনার কয়েকটি অংশ দখল করেছে।
এদিকে দোনবাসের কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী বন্দরনগরী মারিউপুল পরিপূর্ণ দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এমন দাবি করেছেন।
যদিও মারিউপুলে রুশ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, এখনো শত শত রুশ যোদ্ধা আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানায় লুকিয়ে আছেন। এছাড়া মারিউপুলের সম্পূর্ণ পতন নিয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মস্কো বলছে, বর্তমানে দুই হাজারের বেশি কিয়েভ-অনুগত জঙ্গি কারখানার মধ্যে অবস্থান করছেন। তবে সেখানে আক্রমণ করা উচিত হবে না বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোইগুকে বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখতে বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তাদের অস্ত্র সমর্পণেরও প্রস্তাব দিতে বলেছেন।
আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্চের প্রথম দিক থেকে মারিউপুল শহরটি ঘিরে রাখা হয়েছে। আট হাজার ১০০ ইউক্রেনীয় সেনা, বিদেশি ভাড়াটে খুনি, জাতীয়তাবাদী জঙ্গিসহ নতুন-নাৎসি আজভ ব্যাটালিয়নের সেনাদের সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
তাদের মধ্যে এক হাজার ৪০০ জাতীয়তাবাদী অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। শহরটি থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৪২ হাজার বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কারখানায় যারা আটকে আছেন, তাদের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করতে রাশিয়া দুবার মানবিক করিডোর খুলতে চাইলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বলা হয়েছে, যদি তারা আত্মসমর্পণ করেন, তবে নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। তাদের প্রতি কোনো বৈরী আচরণ করা হবে না।