মার্ভেলের বক্স অফিস কাঁপানো চলচ্চিত্র ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ প্রথমবারের মতো মুক্তি পায় ২০১৬ সালে। তারপর থেকে চলচ্চিত্রটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন সিকুয়েলের জন্য মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই “ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্যা মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস” বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে। কিন্তু সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের ভক্তরা তা থেকে বঞ্চিত হবেন। সৌদির পাশপাশি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছে।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ অভিনীত এই হলিউড চলচ্চিত্রটির ওপর কুয়েতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা? -একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এলজিবিটিকিউ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এলজিবিটিকিউ বলতে “লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল অ্যান্ড ট্রান্সজেন্ডার” বোঝানো হয়। যাকে বাংলায় বলা হয় “নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী”।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সমকামিতা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ। এর আগেও যে সিনেমাগুলোতে এলজিবিটিকিউ প্রসঙ্গ এসেছে, সে সব সিনেমা সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে ব্যর্থ হয়েছে। ডক্টর স্ট্রেঞ্জের এই সিক্যুয়েলে আমেরিকা শ্যাভেজ চরিত্রটিকে দেখা যাবে যাতে অভিনয় করেছেন জোচিটল গোমেজ। কমিক্সে এই চরিত্রের চিত্রায়ন অনুসারে, সে একজন সমকামী।
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের পর সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতারের সিনেমার ওয়েবসাইটে আর অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনও টিকিট বুক করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আশা, আমিরাতে কোনো বাধা ছাড়াই চলবে সিনেমাটি।
ডক্টর স্ট্রেঞ্জ প্রথম সিনেমা নয় যা সৌদি আরবে নিষেধাজ্ঞার মুখ দেখলো।এর আগে নভেম্বরে দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলেই নিষিদ্ধ হয় “ইন্টার্নালস” নামের আরেকটি সিনেমা। সেখানেও সমলিঙ্গের দম্পতি ও প্রথম সমকামী সুপারহিরোর গল্প বলা হয়েছিল, তাই এই নিষেধাজ্ঞা। সেই সময় এডিট বা কিছু দৃশ্য পরিবর্তন করার শর্তে সিনেমাটিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল দেশটি। কিন্তু সিনেমাটির প্রযোজক সংস্থা ডিজনি তাতে রাজি হয়নি।