পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীতে একসঙ্গে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন এক গৃহবধূ। বর্তমানে ওই গৃহবধূ ও তার তিন নবজাতক জীবন মৃত্যুর সন্দিক্ষণে।
শনিবার(২৩ এপ্রিল) সকাল ৭ টার দিকে পটুয়াখালী পৌর শহরের আবদুল্লাহ ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি নবজাতকের জন্ম দেয় ওই গৃহবধূ।জন্ম নেয়া নবজাতকদের পটুয়াখালীর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই গৃহবধূ আব্দুল্লাহ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওই গৃহবধূর নাম পারভীন বেগম। সে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া (ধর্মনারায়ণ) গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী।
একই সাথে তিনটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে সমাজিক প্রচার মাধ্যম ফেইসবুকে। এতে হাসপাতালে নবজাতকদেরর দেখতে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভির করেছেন অনেকে।
বর্তমানে নবজাতকের মা ও তিন নবজাতক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। মা ও নবজাতদের বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এদিকে তার হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে উন্নত চিকিৎসা করানো খুবই কষ্টসাধ্য বলে জানিয়েছেন গৃহবধূর স্বজনরা।
ওই নবজাতকের বাবা জাকির হোসেন জানান, ‘আমি ইট ভাঁটায় কাজ করি। আমার সাথে টাকা পয়সা নাই। আমি কিভাবে চারজন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা করাবো। এই মহূর্তে চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। আপনারা সহযোগীতা না করলে আমার সন্তান তিনটাকে বাঁচাতে পারবো না।
আবদুল্লাহ ক্লিনিকের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সিজারের মাধ্যমে ওই নারীর তিনটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। বর্তমানে ওই শিশু পুত্র তিনটিকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্কানুতে (নিবির পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) পাঠানো হয়েছে। বাচ্ছাদের বাঁচাতে হলে তাদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
এবিষয় পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা কিছু বলতে পারবোনা। এবিষয়ে তত্তাবধায়কের সাথে কথা বলেন।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ আবদুল মতিন এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।