রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়া সফর করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইতোমধ্যে মস্কোয় পৌঁছেছেন তিনি। এ সফরে রুশ প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেনে গত দুই মাস ধরে চলা সামরিক অভিযান বন্ধ কিম্বা যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) তিনদিন সফর শুরু করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস। সংকট সমাধানে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই এদিন রাজধানী মস্কোয় পৌঁছান তিনি। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ইউক্রেনকে ঘিরে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধানে গুতেরেসের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ‘আমরা এই কঠিন সময়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর জন্য আপনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবারই পুতিনের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের আগে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস। বলেছেন, আমাদের অবশ্যই যুদ্ধ থামাতে হবে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, পুতিন-গুতেরেসের আলোচনার মূল ফোকাস হবে অবরুদ্ধ শহর মারিউপোল। শহরটি পুরোপুরি দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও এখনও শহরটির কেন্দ্রে অবস্থিত আজভস্তাল ইস্পাত কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই চলছে।
কারখানাটিতে কয়েকশ বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে বেশ সংখ্যক ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের কাছে আজভস্তাল কারখানা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর খেলার নিশ্চয়তা (গ্যারান্টি) চেয়েছে কিয়েভ।
রাশিয়া সফর শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) কিয়েভ সফর করবেন। সেখানে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশই জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রায় দুই মাস ধরে চলা অভিযানে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ৬২তম দিনে পড়েছে রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযান। সংঘাতের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে অবরুদ্ধ বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে জাতিসংঘ।