জার্মানিতে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ৪০টি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানো এবং যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে দেশটির দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন তার মিত্রদেরকে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর সাঁজোয়া যান ও হাউইৎজার কামান মোকাবেলার জন্য কিয়েভকে আরো ভারী অস্ত্র পাঠাতে চাপ দিচ্ছে।
রোববার কিয়েভ সফরের পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে পারে যদি তার কাছে ‘সঠিক সরঞ্জাম’ থাকে।
বৈঠকের আগে, জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছে, ভারী অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য কিয়েভের অব্যাহত চাপের প্রেক্ষিতে বার্লিন ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক সরবরাহের অনুমোদন দেবে।
এখন পর্যন্ত জার্মানি প্রধানত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠিয়েছে। কিন্তু চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের গ্রিনস জোটের অংশীদাররা তাকে আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সতর্ক করেছেন যে, ইউক্রেন সংঘাতের ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার ‘বাস্তব’ আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘এই আশঙ্কা গুরুতর, এটি বাস্তব, আপনি এটিকে খাটো করে দেখতে পারবেন না।’
ল্যাভরভ আরো বলেছেন, ইউক্রেনের সাথে শান্তি আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আলোচনার বিষয়ে কিয়েভের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলোচনার জন্য ‘ভান’ করছেন।
তিনি বলেন, ‘সদিচ্ছার সীমা আছে। কিন্তু যদি তা পারস্পরিক না হয়, তাহলে সেটা আলোচনার প্রক্রিয়ায় সহায়ক নয়।’
এদিকে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে সীমান্তবর্তী সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র মলদোভায় বিচ্ছিন্নতাবাদী রুশ-সমর্থিত অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে একটি রেডিও স্টেশনে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে রাশিয়ান রেডিও সম্প্রচার রিলে করা অ্যান্টেনা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।