বরিশাল ॥ ফেসবুক-লাইভে-মেয়র-সাদিকের-হুমকি জনভোগান্তি নিরসনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র সাদিক
বরিশাল সিটির মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদ চাঁদাবাজি করার জন্য দেয়া হয়নি। কার পারমিশনে এসব দোকান বসানো হইছে?
সড়কের পাশে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে দলের এক নেতাকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
ফেসবুক লাইভে তিনি শেখর দাস খোকন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ঈদের আগেই বহিষ্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
দলীয় নেতারা জানান, বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের সেবায় বুধবার রাতে সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। নিজ বাসায় ফেরার পথে নগর ভবনের সামনে তিনি গাড়ি থেকে নামেন।
সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিষয় নিয়ে তিনি উপস্থিতদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই এক নেতার নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বলেন।
মেয়রের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে করা লাইভে দেখা যায়, ঈদের কারণে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ঈদ করতে আসা মানুষের ভিড় বাড়ার কারণে যাতে যানজট না হয় সে কারণে রাতে নগর ভবনের সামনের সড়কে থাকা কাপড়ের দোকান সরাতে নির্দেশ দেন মেয়র। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো ফুটপাতে উঠিয়ে ব্যবসা করতে বলেন তিনি।
সালাম নামের এক নেতাকে মেয়র সড়কের ওপরে থাকা দোকান সরিয়ে ফুটপাতে নিতে বলেন। তখন সালাম জানান, জাদুঘরের সামনের সড়ক তার মধ্যে নয়, সেটা শেখর দেখভাল করেন।
শেখরের নাম শুনেই ক্ষিপ্ত হন মেয়র সাদিক। তিনি লাইভে বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস খোকন এখানে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করেন। স্পীডবোট থেকেও তিনি টাকা নিয়ে থাকেন।’
ঈদের আগেই শেখরকে বহিষ্কার করা হবে বলে মেয়র লাইভে ঘোষণা দেন।
সাদিক আব্দুল্লাহ এ সময় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদ চাঁদাবাজি করার জন্য দেয়া হয়নি। কার পারমিশনে এসব দোকান বসানো হইছে?’
জাদুঘরের সামনের সড়কে থাকা সব দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য তিনি সিটি করপোরেশনের রোড ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতকে নির্দেশ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস খোকন বলেন, ‘ওখানকার মানুষ বিপদে পড়লে আমি গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই। সেখানকার দোকানদারদের সঙ্গে আমার অন্য সম্পর্ক নেই। মেয়র কী ভেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন তা সৃষ্টিকর্তাই জানেন।