বরিশাল:স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার টিপু সুলতান জামিন লাভ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের জেলা জজকোর্টের বিচারক মো. রাশেদুজ্জামন রাজা জামিন শুনানি শেষে ডা. টিপু সুলতানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি ডা. টিপু সুলতানের আইনজীবী বরিশাল জেলা বারের সাবেক সভাপতি তালুকদার মো. ইউনুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. টিপু সুলতানকে (৩২)১২ এপ্রিল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
তার স্ত্রী গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিলাদুজ্জাহান ইরা (২৮) বাদী হয়ে তার স্বামী ডা. টিপু সুলতান, শ্বশুর বাদশা ফকিরকে আসামি করে গত ১২ এপ্রিল রাতে গৌরনদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামালার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া গ্রামের মো. বাদশা ফকিরের পুত্র ডা. টিপু সুলতানের সঙ্গে কুমিল্লা দক্ষিণ সদর উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের আ. আলিমের কন্যা ডা. মিলাদুজ্জাহান ইরার বিয়ে হয়। বর্তমানে তারা ২ জনই গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
বাদী লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন- ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী ডা. টিপু সুলতান তাকে প্রায়ই মারধর করত এবং প্রাণনাশের হুমকি দিত। নিরুপায় হয়ে ১২ এপ্রিল রাতে তিনি যৌতুকের জন্য মারধর ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে গৌরনদী মডেল থানায় ডা. টিপু সুলতান ও শ্বশুর বাদশা ফকিরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ ডা. টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে।
ডা. টিপু সুলতানের বাবা বাদশা ফকির অভিযোগ করেন, ৮ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক করে তার পুত্রের সঙ্গে ডা. ইরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ইরা ও তার বাবা মা টিপু সুলতানকে তাদের বাড়িতে ঘরজামাই রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
আমার ছেলে ঘরজামাই থাকতে রাজি না হওয়ায় ডা. ইরা তাদের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।