বরগুনা আমতলী পৌর শহরে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায়।
জানাগেছে, পৌর শহরের বটতলা এলাকার মোঃ কবির হাজির মুদি মনোহারি দোকান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিক ছড়িয়ে পরে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দের ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনের লেলিহান শিখায় আনোয়ার হোসেন খাঁনের রয়েল হোটেল, তোফাজ্জেল হোসেনের ভাই ভাই হোটেল, কবির গাজীর মুদি মনোহরদি দোকান ও আলী আকবরের ষ্টেশনারী দোকান এবং ফারুক তালুকদারে ঔষুধের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৭৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদশী মোঃ শাহ জালাল রনি ও জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, কবির গাজী মুদিমনোহরদি দোকান থেকে বিকট শব্দ হয়। পরে ওই দোকান থেকে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে দমকল বাহিনীর লোকজনকে খবর দেই। স্থানীয়দের সহযোগীতায়পুলিশ ও দমকল বাহিনীর লোকজন দের ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে।
ষ্টেশনারী দোকান মালিক মোঃ আলী আকবর কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। বাবার অবসরে পাওয়া সকল অর্থ এখানে বিনিয়োগ করেছি। এক নিমিশে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন কি করবো?
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন লিডার মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, দের ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এতে পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় লোকজনের ধারনা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
আমতলী থানা ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়, পুলিশ ও দমকল বাহিনী লোকজনের প্রচেষ্টায় ওই এলাকায় অন্তত ২০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পেয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের সাধ্যমত সহায়তা করা হবে।