সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও রুটিন মাফিক কাজ ছাড়া অন্য কোন দায়িত্ব নেই — আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বরিশালের কাজির হাট থানায় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা। বরিশাল আদালতের সামনে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য অবস্থান কর্মসূচি করে আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন । মুফতি ফয়জুল করীম কে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার দাবীতে মামলা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম , বরিশাল সিটি মেয়র হিসেবে ঘোষণা চান তিনি । ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এনবিআর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভান্ডারিয়াগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহন বাস খাদে পড়ে ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত বাংলা শুভ নববর্ষ , উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

এটি বিশেষ সময় তাই রুটিন বাজেট করে লাভ নাই: ড. সালেহউদ্দিন

একুশে বিডি ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৮৬ জন নিউজটি পড়েছেন

শ্রীলংকায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় বাংলাদেশেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সরকার বলছে না বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবেনা। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএনপি আমলের গভর্নর ড. সালেহউদ্দিনও বলছেন, আমাদের অবস্থা তেমন হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নাই। তবে দুনীতিতে ডুব দেয়া শ্রীলংকার জাতীয়তাবাদী ও ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের অর্থনৈতিক ব্যর্থতা থেকে শিখে সতর্ক হতে হবে। কারণ আমদের দেশেও মূল্যস্ফীতি আছে, দুনীতি আছে লুটপাট আছে আর্থিক খাতে যেখানে ব্যবসায়ীরা কিনা ব্যাংক মালিক। রাশা-ইউক্রেইন যুদ্ধ বিশ্বের রাজনৈতিক অর্থনীতিই পাল্টে দেবে সেটিও খেয়ালে রাখতে হবে।

জুলিয়া আলমের সাথে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে রাখঢাক ছাড়াই এমন অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি এবং আসন্ন বাজেটে কি কি করা জরুরি এসব নিয়েও কথা বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন।

জুলিয়া: আপনার পর্যবেক্ষণে ম্যাক্রোকোনোমি বা সামষ্টিক অর্থনীতি কেমন আছে? কোন সূচকগুলো ঝুঁকিতে আছে? কেন?

ড. সালেহউদ্দিন: সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত সামষ্টিক সূচকগুলো সন্তোষজনক। যদি পার্শ্ববর্তী ভারতের সাথে তুলনা করি তবে বাংলাদেশ ভাল আছে। আমরা ৫-৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বলয় থেকে বেরিয়ে ৭ বা এর বেশিতে পৌঁছেছি। গ্রোথ সন্তোষজনক, ফরেন রিজার্ভ মোটামুটি বেশ ভাল, রপ্তানি আয় প্রবাসী আয়ও ভাল। মূল্যস্ফীতি ইদানিং আর বেড়েছে তবে ওভার অল এখনো মোটামুটি ঠিক আছে।ভাল সূচকগুলো সুসংহত করে সামনে এগুতে পারলেই ভাল। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেক্টরাল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের এক্সপোর্ট একটিমাত্র খাতে-আরএমজি। উই হ্যাভ পুট অল এগ ইন ওয়ান বাস্কেট-এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখেছি। ডাইভারসিফেকশন হয়নি। যদি বিশ্বে বড় কিছু একটা ঘটে তখন কি হবে? রেমিটেন্সও কয়েকটা দেশে সীমাবদ্ধ। ক্লাইমেট চেঞ্জও বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশ দুর্যোগের দেশ এবং অনেক লোক মার্জিনাল লোক উপকূলে থাকে বাধ্য হয়ে। সেখানে নোনা পানি ঢুকে যায় তারপর আছে বন্যা- এগুলো কন্ট্রোল করা যাবে না, আপনি বন্ধ করতে পারবেন না, ম্যানেজ করতে হবে। ঢাকার আছে বায়ুদূষণ, শব্দদুষণ, বিশুদ্ধ পানির অভাব আর্সেনিক সমস্যা এখনো আছে।

জুলিয়া: সব মানুষের কথা বিবেচনায় আনলে এখন অর্থনীতির সবচেয়ে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ?

ড. সালেহউদ্দিন: দেখুন দেশে গ্রোথ হচ্ছে, ইনকাম বাড়ছে, নিম্নমধ্যমআয়ের দেশের তালিকায় যাচ্ছি ভালো কথা কিন্তু এর সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আয়ের বৈষম্য অর্থের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে, সম্পদের বৈষম্য তো আরো প্রকট, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে, সমতাভিত্তিক উন্নয়নের দিকে যেতে হবে। আর আমরা যে মধ্য আয়ের দেশের তালিকায় যাব এর সাসটেইনেবিলিটি ধরে রাখতে হবে। আমাদের পলিসিগুলো খুব একটা খারাপ না। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। এই দায়িত্ব তো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের; সেখানে ইনইফিসিয়েন্সি, সিনসিয়ারিটি, মনিটরিংও জবাবদিহীতার অভাব। দ্বিতীয়ত ইনস্টিটিউশন ক্যাপাসিটি দুর্বল। যেমন বাজার; রোজাসহ নানা সময়ে পণ্যের দাম বাড়ছে, কারণ জায়গার জায়গায় চাঁদাবাজি, মনিটরিং হয় না। প্রতিষ্ঠান কাজ না করলে ভাল পলিসিতে লাভ হবেনা। আমাদের বিশাল জনশক্তিকে কর্মক্ষম করা, প্রশিক্ষণ দেয়া, দক্ষ করা, আত্মকর্মসংস্থানের বিষয়গুলোও দেখতে হবে। দেখুন জাতিসংঘ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও ইকোনোমিক ভলনাবিলিটিতে জোর দিয়েছে মানে ওরাও বলছে যেকোনো সময় স্লিপ করার ঝুঁকি আছে। মধ্যম আয়ের দেশ তো ব্রাজিল বহু আগেই হয়েছে ভারতও। এখন বেরুতে পারছে না। এটা ট্র্যাপ বলি আমরা। এমন ফাঁদে যেনো বাংলাদেশ না পড়ে।

জুলিয়া: শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন দক্ষিণ এশিয়ায় আতংক। বাংলাদেশকে সতর্ক করছেন অনেক মহল। সরকার বলছে বাংলাদেশ কোনক্রমেই শ্রীলংকা হবেনা । বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর এবং একজন সক্রিয় অর্থনীতিবিদ হিসেবে আপনি পরিস্থিতিকে কিভাবে দেখছেন?

ড. সালেহউদ্দিন: দেখেন দুটা এক্সট্রিম ভিউ; একটি হলো শ্রীলংকার মতো একেবারে হবেই না আবার কেউ বলছে হবে। আমার মনে হয় যে শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের তুলনা সরাসরি করা যাবে না। বাংলাদেশ বিশাল জনসংখ্যার দেশ, ভূখণ্ড ছোট। তবে আমরা মোটামুটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ যদিও গ্যাপ আছে কিছুটা আর গ্রোথও মোটামুটি ঠিক আছে।তাই শ্রীলংকায় যেমন ধস নেমেছে, বাংলাদেশে হঠাৎ তা হবে তা নয়।তবে শ্রীলংকার ইনসিডেন্ট অনেকে ভাবে হঠাৎ করে হয়েছে তা নয়। তবে এখানে আমাদের একটু সাবধান হতে হবে। শ্রীলংকায় সিভিল ওয়ারদমনের পরে জাতিগত হারমনি আনার কথা ছিলো, যেটি নেলসন মেন্ডেলা করেছে সবাইকে নিয়ে একসাথে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, শ্রীলংকা সেটি করে নাই। সিংহলি এবং তামিলদের মধ্যে রিলেশন ভালো না, এখনো না। তামিলরা এখনো এক্সপ্লোয়েটেড। মুসলিম ব্যবসায়ীরা খুব মেধাবী ও দক্ষ তাদেরও টেনশন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।২০১৯ এ ইস্টারে বোমা হামলা হলো তা সংখ্যালঘুর উপর বিরাট হামলা, তারপর গির্জায় হামলা হলো এগুলোতে টেনশন বেড়েছে। সুশাসন এবং ডেমোক্রেসিরও অভাব আছে। ২০১৪-এ থেকে একই ফ্যামিলি বার বার আসছে, সব কুক্ষিগত করে রাখছে। ওদের পার-ক্যাপিটা ইনকাম ভাল, হেলথ ইনডিকেটর ভাল, ওদের শিক্ষিতের হার সবচেয়ে বেশি তাই সুশাসন এবং গণতন্ত্র চর্চা শ্রীলংকায় বেশি হওয়ার কথা ছিল।

দেখেন শ্রীলংকায় এখন খাবারের অভাব, শিক্ষার অভাব, চিকিৎসার অভাব, ওষুধপত্র নেই সবদিকেই অব্যবস্থাপনা। আমার মনে হয় না চটকরে একেবারে শ্রীলংকার মতো হয়ে যাবে তবে শিক্ষা নেয়ার ব্যাপার আছে। শ্রীলংকার প্রবলেম ওরা বিদেশি ঋণ নিয়েছে প্রচুর, ঋণ নেয়া খারাপ না তবে ইউটিলাইজেশনে প্রজেক্ট সিলেকশন এবং ইমপ্লিমেনটেশন যথাযথ হয়নি অনেক কষ্ট ওভাররান হয়েছে, করাপশন হয়েছে প্রচুর ওগুলোর বেনিফিট তো ইকনোমি এখন পাচ্ছে না।এগ্রিকালচার সেক্টর ওদের বিরাট কিন্তু এখন বলছে আমরা অরগানিক মেনু ব্যবহার করবো তার মানে কি লোকজনকে বোঝানো, সার আনার টাকা নাই। এটা তো বলতে পারবে না যে ফরেন এক্সচেঞ্জ নাই অতএব এখন তোমরা গোবর দিয়ে দিয়ে চাষ করো। সবমিলে গত ৯, ১০ বছরে ওদের একেবারে ডিজাস্টার। ম্যানেজমেন্ট, করাপশন, সোশাল হারমনির অভাব। ট্যুরিসটদের ইমপ্রেশনও এখন একটু খারাপ শ্রীলংকার উপরে। কমিউনাল হারমনি না থাকায় মিস ম্যানেজমেন্ট। ট্যুরিসটরা চায় একটা দেশে যাবো যেখানে লোকজন ভালো। পাকিস্তানে একই অবস্থা ইনফ্লেশন ভেরি হাই।

বাংলাদেশে এখন সোশ্যাল সেক্টরে ভালো করছে তবে কোভিড অভিজ্ঞতায় আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। গরীবদের শুধু টিকা ইনজেকশন দিলেই তো লাভ হবেনা ওদেরও তো ক্যানসার হয়, ওদেরও কিডনি প্রবলেম আছে। ডিসেন্ট্রলাইজড করে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। সামাজিক দিকে কোয়ালিটি অফ লাইফ যদি বলি এখন তা নেই। বাংলাদেশকেও সুশাসনের অভাব মিস ম্যানেজমেন্ট আর করাপশনও আছে। বাংলাদেশে প্রজেক্ট ওভার রান হয়, ৫ বছরের জায়গায় ১০ বছর লাগছে, খরচ বাড়ছে। রাস্তাঘাট হচ্ছে তবে কোয়ালিটি ভালো না। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো একেবারে ছোট না কিন্ত। একটা কথা আছে ইংরেজিতে বিশেষ করে ব্যাংকের ক্ষেত্রে ইটস টু বিগ টু ফল-বড় ব্যাংক কোনদিন ফেল করেনা। কিন্তু বড় ব্যাংক ফেল করেছে আমেরিকাতে ম্যারিল লঞ্চ ফেল করেছে। তাই টু বিগ কান্ট্র্রি অনেক অর্জন আমাদের ফেল করবে না এটা ঠিক না; ফেল করতে পারে যদি না আমরা ঠিকমতো সামাল না দিতে পারি।

জুলিয়া: ডলারের বিপরীতে শ্রীলংকান রুপির অবমূল্যায়নে বাইরে থেকে শ্রীলংকায় দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী মনে হচ্ছে। আপেলের কেজি হাজার রুপি, চালের কেজি পৌনে ৩শ রুপি এমন অনেক কিছু।বাংলাদেশি টাকার শক্তি এখন আপনার দৃষ্টিতে কেমন আছে।অবমূল্যায়নের ঝুঁকি দেখছেন কি?

ড. সালেহউদ্দিন: শ্রীলংকায় যেটা হচ্ছে সেটা কিন্তু অভূতপূর্ব। প্রথম কারণ ফরেন রিজার্ভ নেই। মানে ফরেন রিজার্ভ তো একটা দেশের কারেন্সির ব্যাকআপ। ওরা ইমপোর্ট করতে পারছে না অনেক কিছু, ওষুধপত্রও। ভারতকে রিকোয়েস্ট করছে ওষুধের জন্য, খাদ্যের জন্য।সাপ্লাই কমে গেলেও বাজারে মিনিমাম ডিমান্ড থাকে। তাই সেদেশে দাম বেশি। বাংলাদেশে ওরকম ডিজাস্টার হবে চালের কেজি ৩’শ টাকা হয়ে যাবে আমি ওটা দেখছি না। বাংলাদেশে ফরেন রিজার্ভ এখনো মোটামুটি সন্তোষজনক কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো ইমপোর্টে মাসে ৫-৬ বিলিয়ন। আমার সময় ছিল ২ বিলিয়ন। কয় মাস আগে রিজার্ভ ছিলো ১০-১২ মাসের এখন আছে ৮ মাসের মতো। ধীরে ধীরে কমছে রিজার্ভ। আমাদের টাকার কিছুটা অবমূল্যায়ন হয়েছে ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় উঠেছে বা্ইরে৯২ হয়েছে। সেটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটু নজর দেয়া উচিত।ডলার বিক্রি করে বাগে রাখা যাবেনা এটা মার্কেটই বলে দিবে শ্রীলংকার মতো। অতএব এক্সপোর্ট বাড়াতে হবে, রেমিটেন্স বাড়াতে হবে, ইমপোর্ট রেশনালাইজড করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে ফরেক্সের দিকে একটু খেয়াল রাখতে হবে। কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্স নেগেটিভ বেশ নেগেটিভ আবার ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট ওভার অল নেগেটিভ তার মানে ইনফ্লো অব রিসোর্সেস কম এফডিআইও কম। আউট ফ্লো বেশি। আউট ফ্লো হচ্ছে সেটা তো আপনারা জানেন মুদ্রা পাচার কিভাবে হচ্ছে এটা বিপদজনক, রোধ না করলে হবে না।আমাদের ইনফ্লেশন রেট অফিসিয়ালি যা বলছে তার চেয়ে বেশি। বাজারে তাই দেখা যাচ্ছে।সেটার মূল কারণ আমি বলবো সাপ্লাই সাইড। বগুড়ার ৫ টাকার বেগুন ঢাকায় এসে ৪০ টাকা কেন হবে? দাউদকান্দির ৭-৮ টাকার মরিচ ঢাকায় আপনি ১০০ টাকায় কেন কিনবেন। তার মানে ঘাটে ঘাটে প্রবলেম হচ্ছে। ট্রান্সপোর্ট কষ্ট বাড়ছে এগুলো দূর করা সহজ এবং সম্ভব।এগুলো বিরাট প্রব্লেম না, সলভ করা যায়। শ্রীলংকা পারেনি তাই এই পর্যায়ে এসেছে। বাংলাদেশে এখনই সাবধান হতে হবে।

জুলিয়া: সম্প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেলে দেড় টাকা বেড়ে প্রতি ডলার সাড়ে৮৬তে উঠার অজুহাতে আমাদানি করা পণ্যের দামও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রা ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া দরকার?

ড. সালেহউদ্দিন: মুদ্রা ব্যবস্থাপনা মনিটারি পলিসি এখন হতে হবে ডিমান্ড ম্যানেজমেন্ট। মানে সাপ্লাই একটি বড় অস্ত্র। সেটা কমালে কিন্তু আঘাত আসবে বিজনেসের উপর। তবে একটু রেশনালাইজড করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে লক্ষ করতে হবে ক্রেডিট বাড়ালেও স্মলমিডিয়াম ইন্ডাস্ট্রির দিকে যেগুলো প্রোডাকশন ওরিয়েন্টেড এবং এমপ্লয়মেন্ট বেশি। বড় বড় শিল্পেই আপনি দিয়ে দেবেন ১০ হাজার কোটি টাকা, ৫০হাজার কোটি টাকা তা ঠিক না। বড় শিল্পের দরকার আছে কিন্তু সেখানে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন বেশি হয় না। ১০০ কোটি টাকার শিল্পে ৫০জনের বেশি লোক লাগবে না। আর ১০০ কোটি টাকা যদি এসএমইতে দেন কাজ পাবে ৫০০ লোক বা ১ হাজার লোক। আমাদের স্মল মিডিয়ামশিল্প এটেনশন কম। ফিসক্যাল পলিসি ও মনিটরি পলিসির মধ্যে হারমনি রাখতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের টারগেট বেঁধে দেয়া ক্রেডিট, ইনফ্লেশন, এগুলো বেশিরভাগই অ্যাচিভ হয়না। এখন বিশেষ সময় নন কনভেনশনাল মানে ভিন্ন রকম প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটর করবে ব্যাংক কি করছে, তহবিল ইউজ করছে কিনা, রিপোর্টিংগুলো ঠিক হচ্ছে কিনা ক্রেডিট যথাস্থানে যাচ্ছে কিনা এগুলো আরো বেশি করে মনিটর করা উচিত। বড় করে টার্গেট দিলাম এই হবে সেই হবে এই আশা করছি এতে মনে হয় কাজ হবে না। একটু ননকনভেনশনাল একটু বক্সের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো প্রো একটিভ হতে হবে সুপারভিশন, মনিটরিং করতে হবে।

জুলিয়া: ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ ৬০দশমিক ১৫ বিলিয়ন। ৭ বছরে বেড়েছে ২৫ বিলিয়ন। সরকার বলছে বৈদেশিক ঋণ এখনো ঝুঁকিতে পড়েনি। গত সপ্তায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ঋণের পরিমাণ ঝুঁকি সীমার নীচে রাখতেই হবে। এনিয়ে আপনার মত ও পরামর্শ কি?

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Monday, 21st April, 2025
    SalatTime
    Fajr4:14 AM
    Sunrise5:32 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:24 PM
    Magrib6:22 PM
    Isha7:41 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102