রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। প্রতিটি লঞ্চের ডেক থেকে শুরু করে ছাদের উপর পর্যন্ত যাত্রীতে ছিলো ঠাসা। ভেপসা গরমে অস্বস্তিতে পড়লেও পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে হাসিমুখে সকল দুর্ভোগ বরণ করে নিচ্ছেন যাত্রীরা।
আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে সদরঘাট থেকে ভোলার ইলিশাঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চ দোয়েল পাখি-১, এম ভি গ্রীণলাইন-২, কর্ণফুলী-১৩/১৪ ও ক্রিস্টাল ক্রুজ লঞ্চে তিল রাখার মতো জায়গা ছিলোনা।
দোয়েল পাখি-১ লঞ্চে আসা যাত্রী ফাতেমা বেগম, নিশু, আরিফ হোসেনসহ অনেকেই জানান, করোনা মহামারীর জন্য গতবছরের ৪ টি ঈদ তাঁরা পরিবারের সাথে উপভোগ করতে পারেননি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ফলে ভেপসা গরমের মধ্যেও নানান ভোগান্তি দূর করে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে তাঁরা গ্রামে এসেছেন। সেজন্য এই দুর্ভোগ তাঁরা হাসি মুখেই বরণ করে নিচ্ছেন।
তবে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, ঈদে লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
এদিকে ইলিশাঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কোস্টগার্ড, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে ভোলা নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।