যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে নিজেদের ৪৮ হাজার মডেল ৩ পারফরম্যানস গাড়ি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে টেসলা। ‘ট্র্যাক মৌডে’ থাকার সময় স্পিডোমিটার দেখা না-যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিকে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) প্রকাশ হওয়া নথির বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি প্রকাশ করেছে। পারফরম্যানস মডেল ৩ গাড়িতেই কেবল ট্র্যাক মৌড রয়েছে। গাড়ির স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ, গতিবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, রিজেনারেটিভ ব্রেকিং ও কুলিং সিস্টেম বদলাতে এ মৌডটি ব্যবহার করা হয়।
যেসব গাড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মডেলও থাকছে। এই সমস্যার সমাধানে ক্যাবল কিংবা স্থানীয় অন্য সংযোগের বদলে সেলুলার নেটওয়ার্ক দিয়ে বেতারের মাধ্যমে উপাত্ত আদানপ্রদানের পদ্ধতি ‘ওভার-দ্য-ইয়ারে’ সফটওয়্যার হালনাগাদ করার উপায় বেছে নেবে টেসলা।
কোম্পানিটি বলছে, গেল ডিসেম্বরে একটি ফার্মওয়্যার প্রকাশ হওয়ার পর অনিচ্ছাকৃতভাবে ইউজার ইন্টারফেস থেকে স্পিড ইউনিট সরে গেছে।
ডিভাইসের নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের জন্য নিম্নস্তরের নিয়ন্ত্রণ সরবরাহ করে ফার্মওয়্যার কম্পিউটার সফটওয়্যার। এটি আরও জটিল সফটওয়্যার কিংবা কম-জটিল ডিভাইসের সব নিয়ন্ত্রণ, পর্যবেক্ষণ ও ডেটা ম্যানিপুলেশন ফাংশন সম্পাদন করে ডিভাইসটির সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাসড়ক যান চলাচল নিরাপত্তা প্রশাসন (এনএইচটিএসএ) জানিয়েছে, এসব গাড়ি কেন্দ্রীয় মোটরযান নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করেনি। যদি চালক জানতে না-ই পারেন, কতটা গতি নিয়ে তিনি গাড়ি চালাচ্ছেন, তবে তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়। গাড়ি চালাতে গিয়ে চালকেরা যাতে বিপাকে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতেই গাড়িগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।
গেল বছরে হঠাৎ করে টেসলার গাড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। এনএইচটিএসএ-এর চাপেও কিছু গাড়ি বাজার থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে কোম্পানিটিকে।
শুক্রবার আলাদাভাবে একটি ২০২২ মডেল-এক্স গাড়ি প্রত্যাহার করে নিয়েছে টেসলা। কারণ এটির দ্বিতীয় সারির আসনে একটি ব্র্যাকেট বসানো হয়নি।
গাড়ি বাজারে ছাড়ার পরও বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় ২০২২ সালে মোট ১০টি প্রত্যাহার অভিযান চালিয়েছে টেসলা। যার মধ্যে ২১ লাখ গাড়ি পড়েছে। এনএইচটিএসএ বলছে, কোনো কোনো গাড়ি দুবারও প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে। ফোর্ড মোটরের পরেই দ্বিতীয় বৃহৎ গাড়ি প্রত্যাহারে করে এনেছে টেসলা।