বরিশাল: দুই মাস পর ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা শুরু হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ না পেয়ে হতাশ জেলেরা। মধ্যরাত থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে ইলিশ উৎসবে মেতে উঠলেও তাদের ফিরতে হয়েছে অনেকটা খালি হাতে।
বেশি পরিমাণ মাছ পাবেন এমন আশা নিয়ে নদীতে গেলেও ফের সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের। এতে জেলেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। যদি মাছের পরিমাণ না বাড়ে তাহলে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন জেলেরা।
মাছের পরিমাণ বেশি না হওয়ায় এবার জেলেদের ঈদ আনন্দও মলিন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কিভাবে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ কাটাবেন আর কিভাবেই ঘুরে দাঁড়াবেন তা নিয়ে আবারও সংকট দেখা দিয়েছে।
তুলাতলী ঘাটের জেলে জসিম মৃধা বলেন, রাতে ৮ জেলে নদীতে গেছি, মাত্র ৫ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি। এ দিয়ে কিছুই হবে না। আমরা মনে করেছি, আরও বেশি মাছ পাবো। কিন্তু মাছ না পেয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। পারভেজ বলেন, সকালে নদীতে নেমেছি, ৩ ঘণ্টা জাল বেয়ে ৫শ টাকার মাছ পেয়েছি। তেল খরচও ওঠেনি।
আড়তদার মঞ্জুর হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর বিগত দিনে এমন সময় জেলেরা প্রচুর পরিমাণে মাছ পেয়েছিল। সকাল এ থেকে এ আড়তে মাত্র ৫০ হাজার টাকার মাছ কেনা বেচা হয়েছে।
এদিকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মাছের আড়ত খুলেও সেখানে কেনা-বেচা হয়নি। এতে লোকসান গুনছেন আড়তদাররা।
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশের অভয়াশ্রমে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এই দুই মাসে ৪০০টি অভিযানে ৮৯৭ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে। বাকিদের ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।