করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দু’বছর ঈদ কেটেছে বিধিনিষেধের মধ্যে। তাই করোনার চোখ রাঙানিতে গেলো দুই বছর ঈদ ছিল আয়োজনহীন। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উন্নীত হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যায় বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। দু’বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আসে রমজান মাস।
গত দুই বছর পেছনে তাকালে দেখা যায়, অনেকেই বাধ্য হয়ে ঘরে ঈদের নামাজ পড়েছেন। করো বাড়িতে ছিল স্বজন হারানোর শোক। আবার অনেকের ঘরেই ছিল কোভিড রোগী।
অন্যদিকে বহু দোকানপাট ও ব্যবসা ঈদকেন্দ্রিক বিক্রিবাট্টায় ছিল মন্দা। ছিল বাড়ি ফেরিতে নিষেধাজ্ঞা। সঙ্গে ছিল করোনাকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ফেরার আতঙ্ক।
গত কদিনে দেশের রাস্তাঘাটে গ্রামমুখো মানুষের স্রোত দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ শহরগুলো থেকে কর্মজীবী মানুষ নাড়ির টানে ফিরেছেন বাড়িতে। মোবাইল অপারেটরগুলোর তথ্যমতে, গত পাঁচদিনে প্রায় এক কোটি সিম ব্যবহারকারী ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরেছেন। প্রায় সবাই গেছেন মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, স্বজনদের সঙ্গে মিলে ঈদ উদযাপন করতে।
এবার সংক্রমণ কমে আসায়, ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন অনেকেই। তাই, শংকাছিল যানজটের। কিন্তু এবার সড়কে উল্টো চিত্র। সড়ক, নৌসহ রেলপথে অনেকটা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরেছে ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রার শেষ দিনেও মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ ছিলনা।
অন্য বছর ঈদের আগের দিন সড়কে যানবাহনের যে দীর্ঘ সারি দেখা যায়,তা এবার নেই বললেই চলে। স্বস্তির ঈদযাত্রায় এবার ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ।
এদিকে এবার ঈদের নামাজ, কোলাকুলিতে নেই কোনো বিধি নিষেধ। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়েই প্রাণে প্রাণ মিলবে সৌহার্দ আর বন্ধুত্বের বন্ধনে।