শ্রীলঙ্কার তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দেশটির পর্যটনশিল্পে। জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে ভ্রমণে যাচ্ছেন না বিদেশি পর্যটকরা। খালি পড়ে রয়েছে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট। অলস সময় পার করছেন কর্মীরা।
শ্রীলঙ্কায় এখন পর্যটনের ভরা মৌসুম। কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। লেকের পাড়ে সারি সারি স্পিডবোড ও নৌকা বাঁধা থাকলেও নেই পর্যটকের দেখা। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে পর্যটনশিল্প। কিন্তু অর্থনীতির করুণ অবস্থার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই খাতেও।
দেশটিতে কত কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নেই বিদেশি পর্যটক। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে তাই ভরা মৌসুমেও যেন দেখা দিয়েছে খরা।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিনই তেলের দাম বাড়ছে। রেস্টুরেন্টে সব ধরনের খাবারও আছে। কিন্তু দাম বেশি। যার কারণে বিক্রি নেই। কর্মীদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোনো পর্যটকও আসছে না।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নেই, ব্যবসা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আমার মতো অন্যরাও কঠিন সময় পার করছে। দেশের এই অবস্থা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং দুঃখজনক। বিদেশি অতিথিরা এসে ভয়াবহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অর্থনীতির পাশাপাশি এমর সংকটের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেই দায়ী করছেন অনেকে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সংকট প্রকট। মানুষ আন্দোলন করছে, রাস্তা অবরোধ করছে। পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে চায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। সত্যি বলতে, এসব কারণেই পর্যটকরা এখানে আসছেন না।
শ্রীলঙ্কার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় খাত পর্যটনশিল্প। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে খাতটি মুখ থুবড়ে পড়ে। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও নাজুক অর্থনীতির কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না দেশটির পর্যটনশিল্প।