রাজধানীর কালাচাঁদপুরের দুই বন্ধু রিয়াদ ও অনিক। ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে ঘুরতে বের হন মোটরসাইকেল নিয়ে। রেডিসন হোটেল থেকে মিরপুর যাওয়ার পথে কালশি এলাকায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারায়। দুই বন্ধু ছিটকে পড়েন দুদিকে। হেলমেট থাকায় প্রাণে বাঁচলেও আঘাত গুরুতর। আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনিক। তার বাম পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।
অনিকের বোন জামাই মোহাম্মদ লালন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন বাইক নিয়ে বের হয়েছিল। গাড়ির গতি অনেক বেশি ছিল। হেলমেট না থাকলে মারা যেত। বাইক চালানোর সময় সাবধানে চালাতে হবে।
অনিকের মতো সাত শতাধিক রোগী ঈদের তিন দিনে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অধিকাংশেরই আঘাত গুরুতর। বৃহস্পতিবার (৬ মে) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান- নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে বেপরোয়া বাইক, সিএনজি ও অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে মোট ৭৩২ জন হাত-পা ভেঙে ভর্তি হয়েছে। অনেকের অবস্থা ভয়াবহ। সাধারণত দৈনিক ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ জন রোগী ভর্তি হয়। অথচ ঈদের দিন ৩০০ রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া ঈদের আগের দিন ১৯৭ ও ঈদের পরের দিন ২৩৫ জন রোগী নিটোরে এসেছে হাত-পা ভেঙে। তাদের অনেকেরই হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
দোহার থেকে একজন এসেছেন ঝলসানো হাত নিয়ে। তিনি বাজি ফোটাতে গিয়ে তা হাতেই ফুটে যায়।
নিটোরের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স মিনা মারিয়া অধিকাংশ রোগীই এখন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও বাজি ফুটিয়ে হাত পোড়া। রোগীদের ৮০ শতাংশই সড়ক দুর্ঘটনার। এছাড়া ৫ শতাংশ বাজি ফুটানোয় হাত পুড়ে ও ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।