জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলেও একই সময় রেল চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলছেন, সেতুর সড়কপথের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই রেলের কাজ এগিয়ে নেয়ার সুযোগ মিলছে না। যে কারণে রেলের যাত্রা শুরু হতে ডিসেম্বর গড়াবে।
দেশের সবচেয়ে বড় সড়ক ও রেল সেতু হতে যাচ্ছে পদ্মা। রেলের এই পথই যশোরকে ঢাকার সাথে যুক্ত করবে। সেই হিসেবে ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জ ও পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে।
চলতি বছরের জুনের মধ্যে সেতুর সড়ক অংশটির উদ্বোধন করতে চায় সেতু বিভাগ। একই সময় পদ্মা সেতুর রেল সংযোগটিও উদ্বোধনের পরিকল্পনা দীর্ঘ দিনের।
তবে, একই সাথে সড়ক ও রেলপথ চালুর পরিকল্পনাটি রক্ষা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি জানান, এই সেতুতে সড়ক পথই গুরুত্বপূর্ণ, রেল পথ নয়। তাই সড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর সেতুতে রেলের কাজ শুরুর অনুমতি পাওয়া যাবে।
তবে, ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেটিও নির্ভর করবে রেল অংশে তারা কবে কাজের সুযোগ পাবে তার উপর।
আবার, সড়ক পথ চালু হলে রেলপথের কাজ নির্বিঘ্নে করা যাবে কি না সেটির জন্যও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানালেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তাই সেতুটি চালু হলেও নিচের অংশে রেল লাইনের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ বাকি থেকে যাবে। ঢালাই অবস্থায় সেতু দিয়ে যান চলরে যে কম্পন হবে তাতে রেল লাইনের ঢালাইয়ে সমস্যা হবে। ধরতে পারে ফাঁটল। রেল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ঢালাইয়ের সময় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, যান চলাচল পর্যবেক্ষণ করে কত কম্পনে রেল লাইনের কাজ করা যাবে তা ঠিক করবে রেল কর্তৃপক্ষ। উপাত্তসহ যে সুপারিশ হবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন এই রেলপথের কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রকল্পের সময় বাড়তে পারে।