নিজস্ব প্রতিবেদক, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে আজ রোববার ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে- এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ সকাল ৬টার দিকে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় আসানিতে পরিণত হয়েছে।
গত বছর মে মাসেও বঙ্গোপসাগরে ‘ইয়াস’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ যদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসে, তাহলে তা মাঝারি মাত্রার ঝড়ে পরিণত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটি কোথায় গিয়ে আঘাত করবে তা আরও দুদিন পর বলা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা নাসা ও জয়েন টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত করলে তা খুবই দুর্বল হয়ে যাবে। কারণ, ভারতের ওই দুই উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এখন সবচেয়ে কম। সমুদ্রের যে অংশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় যায় সেখানকার তাপমাত্রা কম থাকলে ঝড়ের গতি কমে যায়। তাপমাত্রা বেশি থাকলে ঝড় শক্তি অর্জন করে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘূর্ণিঝড় গবেষক মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি যদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসে, তাহলে তা মাঝারি মাত্রার ঝড়ে পরিণত হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটি কোথায় গিয়ে আঘাত করবে তা আরও দুদিন পর বলা যাবে।’