চট্টগ্রামে বাড়তি দামে বিক্রির জন্য গোপন জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুত করায় একটি দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় জব্দকৃত তেল সাধারণ মানুষ, খুচরা দোকানদারদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
রোববার দুপুরে (০৮ মে) কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর।
কর্ণফুলী মার্কেটে ঢুকতেই বড় পাইকারি দোকান খাজা স্টোর। ভোক্তা অধিকারের অভিযানকালে, দোকানটির নিচে গোপন গোডাউনে অবৈধভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুত করে রাখার খবর পাওয়া যায়। দোকানের নিচের গোপন জায়গা থেকে এক একটি বোতলজাত সয়াবিন তেলের কার্টন বের করে আনা হয়। এসময় বাড়তি দামে বিক্রির জন্য মজুত রাখা ১ হাজার ৫০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়।
অভিযানকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বাজারে সংকট সৃষ্টি করে বোতলজাত সয়াবিন মজুত করা হয়েছিল। কর্ণফুলী মার্কেটের খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন না থাকার খবর পাওয়ার পর এ অভিযান চালানো হয়। খাজা এন্টারপ্রাইজ নামে দোকানটি বেশি দামে বিক্রির জন্য বোতলজাত সয়াবিন মজুত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত তেল পাওয়া যাওয়ায় খাজা এন্টাপ্রাইজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া ১ হাজার ৫০ লিটার সয়াবিন তেল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ও খুচরা দোকানদারদের মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হয় বলেও জানান তিনি।
এ সময় খাজা এন্টাপ্রাইজের মালিক বলেন, ‘সামান্য তেল’ পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে। এর থেকে অনেক বেশি বোতলজাত সয়াবিন একদিনে বিক্রি করেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সাধারণ মানুষ যারা বোতলজাত সয়াবিন কিনতে পেরেছেন তার মধ্যে একজন সুলতানা। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, খাজা এন্টারপ্রাইজ কয়েক দিন ধরেই বোতলজাত সয়াবিন নেই বলে আসছিল। ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর আজকে তেল পাওয়া গেল।
এর আগে সকালে চট্টগ্রামে বহদ্দারহাট এলাকায় ভোক্তা অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, খুচরা দোকানে বোতলজাত সয়াবিনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে খোলা সয়াবিন তেলের কোনো সংকট ছিল না।
তেল কোম্পানিগুলো ডিলারদের তেল না দেয়ার কারণে বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা।