বর্তমানে সারা বিশ্বে যখন ওমিক্রন বিএ২ ভ্যারিয়েন্টের দাপট চলছে, তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস জানালেন আরও দুটি সাব ভ্যারিয়েন্টের কথা। করোনার এই দুই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গেও এসেছে নতুন মাত্রা।
টেড্রোস আধানমের মতে, করোনার দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ৪ এবং বিএ৫ দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত বাড়ছে।
তার কথায়, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কীভাবে বাড়ছে করোনা। এটাও বুঝে উঠতে পারছি না যে এরপর কী আসতে চলেছে!’
এ বিষয়ে জোয়ে কোভিড অ্যাপের প্রধান প্রফেসর টিম স্পেকটর নতুন এই দুই সাব-ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে মানুষকে সতর্ক করেছেন।
প্রফেসর টিম স্পেকটর বলেন, এখনো বিএ২ চিন্তার কারণ, তবে বিএ৪ এবং বিএ৫ আরও বেশি উদ্বেগজনক। বিএ২-এর তুলনায় এই ভ্যারিয়েন্ট আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে মানুষের ইমিউনিটিকে ফাঁকি দিয়ে এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট শরীরে বাসা বাঁধতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এই দুটি ভ্যারিয়েন্টের প্রধান দুটি উপসর্গের কথা বলছেন তারা।
প্রথম উপসর্গটি হলো নাকে গন্ধ বা সুবাস না পাওয়া। এ লক্ষণের সঙ্গে সাধারণ জনগণ আগেই পরিচিত। আর দ্বিতীয় লক্ষণটি হলো টিনিটাস।
এই উপসর্গটি একেবারেই নতুন। তাই এ লক্ষণটির ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে বলছেন গবেষকরা। প্রফেসর স্পেকটরের গবেষণা বলছে, এই দুই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে ব্রেনের খুব কাছের একটা অংশে সমস্যা তৈরি হয়। প্রতি পাঁচজন রোগীর মধ্যে একজন রোগীর এ সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।
মানুষভেদে টিনিটাসের লক্ষণে পার্থক্য হলেও একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। আর তা হলো কানে মৃদু কিংবা ফড়ফড় শব্দ অনুভব হওয়া, যা শুধু রোগীই অনুভব করতে পারেন।
এই উপসর্গের সঙ্গে জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, কাশি, শরীর ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্লান্তি ও পেটের সমস্যা থাকলে দেরি না করে করোনা টেস্ট করিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা, দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে এটি শরীরে অন্য জটিলতা সৃষ্টি করার সুযোগ পেতে পারে।