বাংলাদেশের মোট মুগডাল উৎপাদনের শতকরা ৫৫ ভাগ হচ্ছে পটুয়াখালীতেই। এখানের উৎপাদিত ডাল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে জাপানে রপ্তানি হচ্ছে। এটির উৎপাদন আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেয়া গেলে অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। এছাড়া চাহিদার মাত্র দশভাগ দেশে উৎপাদন হয়, বাকিটা বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। তাই দেশের উৎপাদনের মাত্রা পটুয়াখালীর মত সারাদেশে বাড়াতে হবে।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুরে মুগডালের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে মতবিনিময় কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে আগে কৃষকেরা শুধুমাত্র ধান চাষ করত। শুকনা মৌসুমে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে অন্য কোন ফসলের চাষ করা যেতোনা। কৃষি মন্ত্রণালয় এ অঞ্চলে ডাল চাষের উদ্যোগ নেয়। কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি মুগ ৬ চাষ করে এখানকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। এতে আমরা এলাকাভিত্তিক ফসল বিন্যাসের চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালীর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু পানি সংকট। খালগুলো ভরে গেছে, সেচের ব্যবস্থা নাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো কাজ করেনা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসবে যাতে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কোন জমি যাতে আর অনাবাদী না থাকে সেজন্য কৃষি গবেষণা ইনিস্টটিউট গবেষণার মাধ্যমে আবহাওয়া সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদেরকে সার, উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সমতল ভূমিতে কোন কোন অঞ্চলে চাষিরা সারা বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করে।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার নেই কৃষকেরা যাতে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য ভর্তুকির ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মুগডাল মাড়াইয়ের জন্য একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এটি ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।