ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে নওগাঁ ও ঝিনাইদহে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আবার দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। এতে ভেজা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে কৃষক।
নওগাঁ জেলায় ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে নিবিড় পরিচর্যার পর কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলার পালা। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাদ সেধেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে নওগাঁর মাঠগুলোতে পাকা ধান তলিয়ে গেছে পানিতে। শ্রমিক সংকটে ধান কেটে তুলতে না পারায় জমিতে বেশির ভাগ ধানে গজিয়েছে চারা। এদিকে, নষ্ট ধান কেটে তুলতে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
কৃষকরা বলছেন, ধান কাটার জন্য তাদের বাড়তি লোকের প্রয়োজন। কিন্তু শ্রমিক রাখতে গেলে ১ হাজার ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। এত টাকা দিয়ে লোক রেখে ধান কাটতে গেলে খরচ পোষাবে না বলে জানিয়েছেন তারা।
কয়েক দফা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নওগাঁয় অন্তত ৩০ ভাগ ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আধা পাকা ও কাঁচা ধানের ১০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এতে ধানের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।’
একইভাবে ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ফসলের জমিতে সৃষ্টি হয়েছে একই চিত্র। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। তার মধ্যে বৃষ্টির জন্য মাঠের পাশে রাখা আগের কাটা ধান ঘরে তুলতে না পারায় দিশেহারা কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ঝিনাইদহে ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। বাম্পার ফলনের আশা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।