চরফ্যাশন শশীভূষণ থানার রসুলপুর ৬নম্বর ওয়ার্ডে অজ্ঞাত ও অসুস্থ পাঁচ গরুর মধ্যে ৪টি মাংশ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসুলপুর চৌমুহনী বাজারের ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী মো.কামরুল হাসান পাঁচটি গবাদিপশু(গরু) ক্রয় করে মোটা তাজা করণের জন্যে ওমরাবাজ গ্রামের আবুতাহের এর নিকট পালন(বরগা) বাবদ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় গরু গুলো হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষণিক একটি গরু মারা যায়। বাকী ৪টি গরু অসুস্থ অবস্থায় গরুর রোগ সনাক্ত করার জন্যে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই বিক্রি করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীগন বেশি লাভের আশায় মাংস বিক্রিতা মনির মাঝি ও হাসান বেপারীর কাছে ২০হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়।
রাতের বেলা লোকচক্ষুর আড়ালে জবাই করা অসুস্থ গবাদিপশু বাজারে সল্পমূল্যে বিক্রি করেছন তারা । এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন ক্রেতারা। যদিও জবাইয়ের আগে প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু অসুস্থ পাঁচ গবাদিপশুর চারটি জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন।
করা হয়নি কোনো ডাক্তারী পরীক্ষা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। রোগ পরীক্ষা ছাড়া পশু জবাই করা এবং বিক্রি করা কোনো অবস্থাতেই ঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, অজ্ঞাত রোগের কারণে যে পশু মারা যায় তা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া জবেহ করা ঠিক নয়। বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি।