বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠে বিপক্ষ দলের টেল এন্ডাররা। মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে জোড়া আঘাতে হেনে সাকিব দ্রুতই শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখালেও উইকেটে এসে প্রতিরোধ গড়েছিলেন আশিথা ফার্নান্ডো। ম্যাথিউসের সঙ্গে জুটিতে শ্রীলঙ্কাকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিলেন নাঈম হাসান। সেই সঙ্গে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পূর্ণ করলেন নাঈম হাসান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার (১৬ মে) দুই-ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত .৯ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৩৯০ রান। ১৯২ রানে অপরাজিত আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন ভিশ্ব ফার্নান্দো।
এদিকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে জোড়া আঘাত হেনে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন নাঈম। আর বিরতির পর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। মধ্যাহ্ন বিরতির পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বল হাতে তুলে দেন নাঈমের হাতে। পরের ওভারে আক্রমণে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ম্যাথিউসকে ১ রান দেওয়ার পর, দ্বিতীয় বলেই বোল্ড আউট করেন রামেশ মেন্ডিসকে (১)। পরের বলেই তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত লাসিথ এমবুলদেনিয়া। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে রেহাই পেলেন না এমবুলদেনিয়া (০)।
কিন্তু এরপর উইকেটে এসে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আশিথা ফার্নান্ডো।তাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিলেন নাঈম।
এর আগে একই ওভারে দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকওয়েলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১৪৮ বল মোকাবিলায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে নাঈম হাসানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ক্রিজে থিতু হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে গড়েন ১৩৬ রানের বড় জুটি।
এদিকে চান্দিমাল উইকেটে থিতু হওয়া ম্যাথিউসকে যোগ্য সঙ্গ দিলেও ষষ্ঠ উইকেটে নামা ডিকওয়েলাকে সে সুযোগ দেননি নাঈম। ইনিংসের ১১৩তম ওভারে এসে প্রথম বলে চান্দিমালকে ফেরানোর পরে পঞ্চম বলে বোল্ড আউট করেন ডিকওয়েলাকে। তিনি ৩ বল মোকাবিলায় ৩ রান করেন।
এর আগে প্রথম দিন ওশাদা ফার্নান্দো ৩৬, দিমুথ করুণারত্নে ৯, কুশাল মেন্ডিস ৫৪ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম। সাকিবের শিকার ৩, একটি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।