ফের বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নে জমজমাট হয়ে উঠেছে জুয়ার আসর। বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের তৎপরতায় দীর্ঘ দিন উপজেলার নামকরা এই স্পটটি বন্ধ থাকলেও আবার নতুন আঙ্গিকে চালু হয়েছে। এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে জুয়ারিরা।
উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া (বোয়ালিয়া) গ্রামে টং ঘর তৈরি করে এ জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। প্রথমে আসিফ ব্রিকস সংলগ্ন টং ঘর তুলে শুরু করে। বর্তমানে ক্যাসের বাড়ি নামক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি বাড়ির পিছনের বাগানে তাবু গেঁড়ে আসরটি জমানো হয়েছে।
দুই একদিন পর পর স্পট চেইঞ্জ কৌশল কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ও বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বোকা বানিয়ে থাকে আয়োজকরা। প্রতিদিন সকাল ১১ টার পর শুরু হয়ে গভির রাত পর্যন্ত চলে শতাধিক নামকরা জুয়ারিদের অংশগ্রহণে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা।
স্থানীয় বর্তমান ও সাবেক মেম্বার প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এই জুয়ার আসরের সাথে বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। জুয়ার আসরটির সাথে জড়িত প্রভাবশালী কয়েকজনের নামও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
কেদারপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল আলীম(সাবেক মেম্বার), বর্তমান মেম্বার মুসা ও নুর বেল্লাল ভুলু’র নেতৃত্বে নতুন করে আসরটি সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জুয়ায় অংশগ্রহণকারী। তারা আরো বলেন, স্থানীয় থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই এই জুয়ার আসর বসানো হয়েছে।
অন্যথায় তাবু গেড়ে কোন এলাকায় জুয়া খেলা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জুয়ার আসর বসান বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত দিনে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল জোরালোভাবে জুয়ার আসর বন্ধ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বল্লে কিছু দিনের জন্য জুয়ার স্পষ্টটি বন্ধ থাকলেও জুয়ারিরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দূর-দুরান্ত থেকে খেলোয়াড়েরা প্রতিদিন জুয়া খেলতে আসে কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতের দিয়া (বোয়ালিয়া) গ্রামে। জুয়ার আসর বসায় কুরবানির ঈদ সামনে রেখে এলাকায় গরু চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই ও ঘর চুরির মতো অপরাধ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করছেন সচেতন সমাজ ।
জুয়াকে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবকদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা তাদের । প্রভাবশালীরা জুয়ার সাথে জড়িত থাকায় সম্মান হারানোর ভয়ে সুশীল সমাজের কেউ মুখ খুলতে পারছেন না এ বিষয়ে । এ ব্যাপারে জুয়ারি আব্দুল আলীম কে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন উঠাননি।
কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারি বলেন, ওসির তৎপরতায় আমার ইউনিয়নে জুয়া বন্ধ হয়ে গেছিলো। বর্তমানে জুয়ার আসর বসে কি-না আমার জানা নেই। বাবুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত অলিউল ইসলাম বলেন, জুয়ার বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জেনেছি, তবে এখনি খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।