বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন- জিআই) সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর জানায়, বাংলাদেশের দশম পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি।
এর সঙ্গে ফজলি আমেরও জিআই সনদ পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও শুনানি শেষ না হওয়ায় তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিগত ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয় বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
ডাকযোগে সনদটি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর ফলে ভালো ব্র্যান্ডিং হয়। বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ির মান বিশ্বে অনন্য। এর কালার, ফ্লেভার খুবই ভালো।
জানা গেছে, বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়িকে বাংলাদেশের বিশেষায়িত পণ্য হিসেবে তুলে ধরতে ২০১৯ সালের মে মাসে মৎস্য অধিদপ্তর জিআই সনদের জন্য আবেদন করে। গত বছরের ৬ অক্টোবর পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর গেজেট জারি করে এবং দুটি আন্তর্জাতিক জার্নালে তা প্রকাশ করে।
নিয়ম অনুযায়ী জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনও বাধা থাকে না। বাগদার ক্ষেত্রে সেই সময় গত ৬ ডিসেম্বর শেষ হয় এবং এর মধ্যে কেউ আপত্তি তোলেনি।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। জিআই এমন একটি নির্দেশক যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে।