শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: চরমোনাই পীর শনিবার খোলা থাকছে সব সরকারি অফিস জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পথে যেকোনো বাধাই মোকাবিলা করবো: নাহিদ ইসলাম বরিশালে বিটিসিএলের ৬৭ শতাংশ বিল বকেয়া সরকারি অফিসে দক্ষিণ রাকুদিয়া বাবুগঞ্জে শাজাহান ফকিড়ের দোকানের দরজার দুইটা তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরি করেন চোর চক্র  খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মীরগঞ্জ মুলাদি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। রাকুদিয়া নতুন হাটে মুদি দোকানে চুরি কাশ্মীর হামলার পর চরম উত্তেজনা: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রধান উপদেষ্টা বরাবর মুফতি আরিফ বিন হাবিবের খোলা চিঠি প্রদান  কাউনিয়া আরজু মনি স্কুল সংলগ্ন  ভাঙ্গারির ব্যবসার আড়ালে মুন্নি ও হানিফের প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা 

বরিশালে বাজারে নেই তদারকি, তেলের দাম দোকানির ইচ্ছায়

মোঃ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রতিনিধি।
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০২২
  • ৯৪ জন নিউজটি পড়েছেন

বরিশাল ॥ বরিশালের মুলাদীতে সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি টাকায়ও মিলছে না ভোজ্যতেল। বাজারে সয়াবিন, পাম অয়েল না থাকায় অনেকেই তেল কিনতে পারছেন না।

বিশেষ করে বোতলজাত কিংবা খোলা সয়াবিন তেল খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। উপজেলায় দীর্ঘদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দামে তেল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত চললেও মুলাদী উপজেলায় প্রশাসনের কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি নেই বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেউই বাজারে অভিযান চালাননি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, রমজান শুরুর আগেই সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই মুলাদী উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কেউ কেউ বেশি করে তেল কিনে রাখতে শুরু করেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে ভোজ্যতেল সরিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার বন্দরগুলো প্রশাসনের তদারকি না থাকায় রমজানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২১০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দু-একজন বেশি দামের প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি।

ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কেনার অজুহাত দিয়ে অতিরিক্ত লাভ করে নিয়েছেন। এখনো তাঁরা সরকারনির্ধারিত দামের বেশি দরে তেল, আটা, পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি করছে না বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।

তেরচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টেলিভিশন-পত্রপত্রিকায় দেখি সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে।

অথচ আমরা ২০০ টাকায়ও কিনতে পারছি না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বলে দেন, খোলা কিংবা বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও লিটারপ্রতি ২১০ থেকে ২৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জানিয়ে দিচ্ছেন।’

চরকালেখান গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারা মালামাল সরবরাহ না দিলে খুচরা পর্যায়ে সংকট তৈরি হয়। অনেক সময় ডিলার ও পাইকার অতিরিক্ত লাভের জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন।

দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে তেল জব্দ হলেও মুলাদীতে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীরা হয়তো সুযোগ পাচ্ছেন।’
গলইভাঙা গ্রামের ভ্যানচালক মজিবুর ফকির বলেন, ‘এক কেজি খোলা আটা ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলে দিয়েছেন, চাল, আটা, পেঁয়াজ ও তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। আমাদের মতো যাদের রোজগার কম, তাদের চলবে কী দিয়ে?’

চরডিক্রী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম জানান, মুলাদী বন্দরের বেশির ভাগ দোকানেই মূল্যতালিকা নেই। ভোজ্যতেল, আটা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

বাজারে ইউএনও, এসিল্যান্ডের অভিযান চললে তাঁরা বাড়তি দাম নিতে ভয় পেতেন। আগে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন এখন অভিযান চালায় না।

মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী মজনু খান বলেন, ‘ডিলারদের কাছে চাহিদা দিয়েও ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো ডিলার তেল দিতে রাজি হলেও বাড়তি দাম চান। তাই ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই কিছুটা দাম নিচ্ছেন।

এ ছাড়া দুই-তিন দিনের মধ্যে আটা ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। ডিলাররা ব্যবসায়ীদের যে তথ্য দেন, সেই হিসেবে ভোক্তাদের জানানো হয়। সেখানে কাউকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবসায়ীরা কিছু বলেন না।’

উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম বলেন, ‘বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপজেলায় না আসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ। উপজেলার সব ডিলারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোনো সময় অভিযানে নামা হতে পারে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী জানান, বাড়তি মূল্যের বিষয়ে ভোক্তাদের কেউ অভিযোগ করেননি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত অভিযান চালালে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হতো। শিগগির উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Friday, 23rd May, 2025
    SalatTime
    Fajr3:48 AM
    Sunrise5:13 AM
    Zuhr11:55 AM
    Asr3:16 PM
    Magrib6:38 PM
    Isha8:03 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102