ব্যাংকিং চ্যানেল কিংবা খোলা বাজার, সবখানেই ডলারের দাম ছাড়ালো ১০০ টাকা। মঙ্গলবার দিনশেষে তা দাঁড়িয়েছে একশ’ এক থেকে একশ’ দুই টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও চিকিৎসার জন্য বিদেশগামী যাত্রীরা। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন হজগামী যাত্রীরাও।
এই হার ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ব্যাংকাররা বলছেন, বিশ্ব বাজারে অস্থির অবস্থা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য পণ্য আমদানিতে বাড়তি খরচ লাগবে এই অজুহাত দেখিয়ে কিছু ব্যাংক ডলারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারকে অস্থির করছে।
একই সাথে খোলা বাজারের বিক্রেতারাও লাভের জন্য ডলার ধরে রেখেছে। এদিকে সোমবারই প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও বেশিরভাগ ব্যাংকে মঙ্গলবার ঋণপত্র খুলতে ১০০ টাকা হাঁকিয়েছে ব্যাংকাররা।
রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন এলাকার মানি চেঞ্জারসহ খোলাবাজারে মঙ্গলবার ডলার ১০০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০১ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা আগের দিন বিক্রি হয়েছে ৯৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩০ পয়সায়। এতে বিদেশগামী যাত্রী, রোগী ও পর্যটকদের খরচ বেড়ে গেছে।
৯ মাসে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে খোলা বাজারে বেড়েছে আরও বেশি। আর ব্যাংকের বাইরে এখন ডলার পাওয়াই যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য ১২ টাকা ছাড়িয়েছে, এতে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলারের দামের পার্থক্য আগে কখনো এত বেশি হয়নি।