বরিশালে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়া নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রণি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
বুধবার (১৮ মে) বেলা ১টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান।
তার পক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরিশাল জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
অ্যাডভোকেট এ.কে.এম জাহাঙ্গীর বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ধর্ষণ মামলাটি ষড়যন্ত্র। এসব নিশ্চিত হয়েই মহানগর আওয়ামী লীগ রণির পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনে যারা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান তারাই এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া তদন্তে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এ মামলা গ্রহণ না করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
রণির স্বাক্ষর করা লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, অভিযোগকারী তরুণীকে রণি চেনে না। তার সঙ্গে কখনও পরিচয়ও হয়নি। রমজানের মধ্যভাগে ওই তরুণী তাকে ফোন করে বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলার আবেদন করে। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনসহ ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বুধবার সকালে মামলার আবেদনকারী তরুণী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে তার সর্বনাশ করার জন্য কাউন্সিলর রণির বিচার দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় তিনি ডিএনএ টেস্টেরও দাবি জানান। ৪ মিনিট ২০ সেকেন্ডের লাইভে ক্রন্দনরত অবস্থায় রণির বিচার দাবি করে তিনি।
নগরীর কালুশাহ্ সড়কের বাসিন্দা ওই তরুণী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে গেল ১৬ মে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে কাউন্সিলর রণিকে একমাত্র আসামি করে মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন মামলার আবেদনটি গ্রহণ করে ১৬ জুনের মধ্যে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।