বরগুনার পৌরশহরের নিউ সুপারমার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শতাধিক দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।রাত ১১.৩০ মিনিটের সময় এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডটি ঘটে।এঘটনা প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের প্রানকেন্দ্রে পৌর সুপার মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বরগুনা ও পটুয়াখলী ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট টানা তিন ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৭ মে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পৌর সুপার মার্কেটের একটি জাল ও সুতার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে এই আগুন আশপাশের কসমেটিকস ও গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বরগুনা স্টেশনের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে পটুয়াখালী থেকে আরও কয়েকটি ইউনিট এসে প্রায় তিনঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
নিউ পৌরসুপার মার্কেটে ব্যবসায়ী মোঃ রাজু জানান, বরগুনা ফায়ার সার্ভিসের প্রতি তিব্র নিন্দা জানাই।
বরগুনা পৌর মার্কেটের ৮/১০ টা দোকান বাদে সব শেষ। তাও থাকতো না যদি আমতলি/বেতাগী/সুবিদখালি ফায়ার সার্ভিস না আসতো।
নিউ পৌরসুপার মার্কেটে আর এক ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসা যাই যাওয়ার পরে যানতে পারি মার্কেটে আগুন লেগেছে শুনে এসে দেখি সব পুড়ে ছাই। জমিজমা বিক্রি করে এই মার্কেটে একটি গার্মেন্টস এর দোকান দেই।চোখে সামনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গোলো। আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বরগুনার জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র।
বরগুনা পৌরমেয়র এ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বরগুনাও পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং বরগুনার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের ছেলেরা চেষ্টা করেছেন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস বরগুনা ও পটুয়াখালীর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, বরগুনা ও পটুয়াখালীর মোট আটটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনের সূত্রপাত জানতে আগামীকাল তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ ও এর সূত্রপাত জানা যাবে।
প্রায় প্রতিবছরই বরগুনা বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা কম। তাই বরগুনার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে গ্রেট বি থেকে গ্রেট এ’তে উন্নিত করার দাবি সাধারন মানুষের।