বরিশাল:বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর মীরগঞ্জ সড়ক অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করছেন স্থানীয়রা। এতে করে যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তেমনি ঘটছে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
অপরদিকে বালুমহলের ইজারাদাররা তাদের নিদিষ্ট স্থান থেকে বালু উত্তোলন না করে যত্রতত্র স্থান থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি ভিটেমাটি হারিয় নিঃস্ব হচ্ছেন হাজারো মানুষ। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা পরছেন ভোগান্তিতে।
এছাড়া বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছেন। এ বালুর ব্যবসার কারণে বহু পথচারীসহ শিক্ষার্থীর চোখের সমস্যা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কিছু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে সড়কের পাশে বালু রেখে ব্যবসা করছেন। এমনকি মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ইট-বালু রেখে সাব-ঠিকাদারির ব্যবসাও করছেন তাঁরা। তাই পথচারীদের চলাচলে অসুবিধার সাথে সাথে প্রতিনিয়তই ঘটছে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তবে উপজেলা প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই।
মোটরসাইকেল চালক আরিফ হোসেন বলেন, রাস্তায় বালু রাখার কারণে মোটরসাইকেল চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় বালু চোখে আসে। অন্য একটা গাড়িকে সাইট দিতে গেলে তখন আমাদের বালুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এরকম সড়ক ব্যবহার করে বালুর ব্যবসা আসলেই দুঃখ জনক ঘটনা। এটি বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন বলেন, সকালে দোকান খুললে ঝাড়– দিয়ে বসলে এক ঘণ্টার মধ্যে দোকানে প্রায় এক থেকে দেড় কেজির মতো বালু জমে যায়। যখন ট্রাকে করে বালু নিয়ে যায় বাতাসের সঙ্গে বালু উড়ে চোখে মুখে চলে আসে। শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যার হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রহমতপুর মীরগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশ জায়গা দখল করে বালু স্তুপ করে রাখা আছে। বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা দখল করে যারা বালুর ব্যবসায় করে আসছেন তাদেরকে ইতিমধ্যে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যদি এখনো কেউ থেকে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।