ইউক্রেনের পুনর্নির্মাণে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার (২৩ মে) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে এক বক্তব্যে রাজনীতিক ও ব্যবসায় নেতাদের উদ্দেশে এ আবেদন জানান তিনি।
জেলেনস্তি বলেন, ইউক্রেনের পুনর্নির্মাণে প্রতিমাসে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার দরকার হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সোমবার এ অভিযান ৮৯তম দিনে গড়িয়েছে। এদিন দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন জেলেনস্কি। এতে তেল অবরোধসহ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে রুশ সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনে জারি করা সামরিক আইনের মেয়াদ আরও ৯০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এ আইনে সামরিক বাহিনীর হাতে অধিকতর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের স্বাধীনতা কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মক্ষম পুরুষদের ইউক্রেন ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে সম্প্রতি ১৮ থেকে ৬০ বছরের পুরুষদের দেশত্যাগের অনুমতি সংক্রান্ত একটি অনলাইন পিটিশন করা হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা পিটিশনটিতে সকাল পর্যন্ত ২৬ হাজারেরও বেশি স্বাক্ষর পড়েছে।
এই পিটিশন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না এ আবেদনটি কার কাছে করা হয়েছে। এখানে কী আমাকে সম্বোধন করা হয়েছে? আজও হয়তো দেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ৫০ থেকে ১০০ জনকে জীবন দিতে হতে পারে। তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন।
এদিকে চলমান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম৭৭৭ হাউইটজারের একটি ইউক্রেনীয় ইউনিট ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ খবর জানায়।
আল-জাজিরার খবরে অবশ্য বলা হয়েছে, তাদের পক্ষে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন ঘোষণা দেয়, ইউক্রেনকে যে ৯০টি স্বচালিত হাউইটজার কামান ব্যবস্থা সরবরাহের কথা ছিল তার বেশিরভাগই দেশটির হাতে পৌঁছেছে।
এই কামান ব্যবস্থা পরিচালনার বিষয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও জানায় বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যেই মার্কিন হাউইটজারের ইউক্রেনীয় ইউনিট ধ্বংসের দাবি করল মস্কো।