৬২ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাশিয়ার জাহাজগুলো সমুদ্রে দাঁড়িয়ে আছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় অবিক্রীত রয়ে গেছে রুশ উরাল অপরিশোধিত তেল।
জ্বালানি বিশ্লেষক ভারটেক্সার অনুসন্ধানে দেখা যায়, কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে সমুদ্রেই অলস সময় কাটাচ্ছে জাহাজগুলো।
ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করলে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে শুরু করে পশ্চিমারা। ইউরোপীয় কাউন্সিল রাশিয়ার তেলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বাজার হারায় রাশিয়া। এতে করে কয়েক মিলিয়ন জ্বালানি তেল এখন পর্যন্ত অবিক্রীত অবস্থায় রয়ে গেছে।
ভেরটেক্সার দেয়া তথ্য মতে, যুদ্ধপূর্ব অবস্থার তুলনায় সমুদ্রে রুশ তেলের পরিমাণ বেড়েছে ৩ গুণ। মূলত বিক্রি না হওয়ায় তেলের এই পরিমাণ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় মে মাসে তেল রফতানি ১৫ শতাংশ কমেছে।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রফতানি করতো। বর্তমানে সেটি নেমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেলে।
আরেক জ্বালানি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্লে সেগেল জানিয়েছে, মিডিয়াগুলোতে বলা হচ্ছে রাশিয়ার তেল রফতানিতে ভাটা পড়েনি। তবে বাস্তবে সমুদ্রে অবিক্রীত তেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজগুলো ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে।
সেগেলের তথ্য মতে, সমুদ্রে অবিক্রীত তেল নিয়ে জাহাজের পরিমাণ বেড়েছে ১৫ শতাংশ, এর অনেকটি আদৌ তেল বিক্রি করতে পারবে কিনা এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
ইউরোপ থেকে বাজার হারানোয় বর্তমানে বাধ্য হয়ে রাশিয়াকে চীন ও ভারতের কাছে সস্তায় জ্বালানি তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স