বরিশাল:নির্মাণের ৩০ বছরেও সংস্কার হয়নি মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের মূল রাস্তার সেতু। ফলে ভাঙা সেতু দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। জনপ্রতিনিধিদের অবহেলায় সেতুটি সংস্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে তৎকালীন কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলী নয়াকান্দি গ্রামের খালে সেতুটি নির্মাণ করেন। এর পরে ৫ বার চেয়ারম্যান পরিবর্তন হলেও নয়াকান্দি গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নয়াকান্দি খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। কাজিরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি, রাঘুয়া কাজিরচর, বড়ইয়া, নলীকান্দি ও বাবুগঞ্জ উপজেলার চর ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে হয়।
সেতুটির পাটাতন ও রেলিং ভেঙে যাওয়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাঙা সেতু দিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চলাচল করছেন। দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত সেতুটির সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন চলাচলকারীরা।
কাজিরচর নয়াকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান উন্নত মানের মালামাল দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করায় এত দিন টিকে ছিল। কয়েক বছর ধরে সেতুতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর মাঝখানের পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় মাঝে মধ্যে বাঁশ ফেলে চলাচল করা হচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-সদস্যরা উদ্যোগ নিলে সেতুটি সংস্কার করা অসম্ভব কিছু নয়। পুরো সেতু না হলেও ভাঙা পাটাতনগুলো সরিয়ে নতুন পাটাতন বসানোর ব্যবস্থা করলে সাধারণ মানুষের চলাচল সহজ হতো।
কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস বলেন, সেতুটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এটি ভেঙে একটি ঢালাই সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) চাহিদা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেরি হলে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. তানজিলুর রহমান বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের চাহিদা বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।