ভোলায় এক প্রসূতির সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সময় জরায়ু ছিঁড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। ডাক্তার জানান, প্রসূতিকে বাঁচাতে হলে তাৎক্ষণিক ৭ ব্যাগ বি পজিটিভ রক্ত দিতে হবে।
ডাক্তারের কথা শুনে হাসপাতালে দিক বেদিক ছোটাছুটি করছিলেন স্বজনরা। এমন সময় স্বজনদের কাছ থেকে হাসপাতালে ডিউটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মামুন বিষয়টি জানতে পারেন।
তাৎক্ষণিক ওই পুলিশ সদস্য ভোলা ব্লাড ডটকমকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে ভোলা ব্লাড ডটকমের সদস্যরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫ ব্যাগ বি পজিটিভ রক্ত ম্যানেজ করে ওই প্রসূতির জীবন বাঁচান।
ওই প্রসূতি দৌলতখান উপজেলা চর খলিফা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিনমজুর আলামিনের স্ত্রী লাইজু বেগম। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তাঁর নিজ বাড়িতে তিনি এক নবজাতকের জন্ম দেন। এটি তাদের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান।
ভোলা সদর হাসপাতালে ডিউটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য মো. মামুন জানান, হাসপাতালে প্রসূতির স্বজনরা দিক বেদিক ছোটাছুটি করছিলো। বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। পরে আমি তাদের কাছ থেকে রক্তের বিষয়টি জানতে পারি৷ তারপর তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি ভোলা ব্লাড ডটকমকে অবগত করি। পরে তাঁরা ওই প্রসূতিকে ৫ ব্যাগ রক্ত দেয়।
ভোলা ব্লাড ডটকমকের সভাপতি মো. এনায়েত হোসেন জানান, তিনি পুলিশ সদস্য মামুনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর হাসপাতালে ছুটে যান। এবং প্রসূতিকে দেখে তিনি ভোলা ব্লাড ডটকমকের সদস্যদেরকে বিষয়টি জানান৷ পরে ভোলা ব্লাড ডটকমকের সদস্যরা ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে ৫ ব্যাগ রক্ত দিয়ে প্রসূতিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়।